Beanibazarview24.com
ভারতের মন্ত্রীসভা শিশুর ওপর ভয়াবহ যৌ*ন অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে একটি ধারা সংশোধন করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, যদি শিশুদের ধ*র্ষণ করা হয় তাহলে তার শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড।
বুধবার রাতে রাজধানী নয়া দিল্লিতে ‘প্রটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস (পিওএসসিও) অ্যাক্ট ২০১২’ সংশোধন করেছে ভারতের মন্ত্রীসভা। ওই আইনে মোট ১৪টি সংশোধনী আনা হয়েছে। এতে শিশু পর্নোগ্রাফি বন্ধে জরিমানা ও জেলের বিধান রাখার কথা বলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে মন্ত্রীপরিষদের বৈঠক থেকে এ বিষয়ে ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়। পরে সাংবাদিকদের কাছে এ বিষয়ে অবহিত করেন তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ক মন্ত্রী প্রকাশ জাভাদেকার।
এর আগে এসব সংশোধনী ফেব্রুয়ারিতে লোকসভায় বিল আকারে উত্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু তখন তা পাস করানো যায়নি। কারণ, এর পরপরই শুরু হয়ে যায় লোকসভা নির্বাচনের কার্যক্রম।
সংশোধনীতে বলা হয়েছে, যদি শিশুদের ধ*র্ষণ করা হয় তাহলে তার শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। এতে আরো বলা হয়েছে, কারো কাছে শিশু পর্নোগ্রাফি বিষয়ক কোনো উপাদান থাকলে তাকে তিন বছর পর্যন্ত জেল দেয়া যাবে। এছাড়া শিশুদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের শাস্তির কথা উল্লেখ করে কয়েকটি নতুন সেকশন যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ডিজিটাল অপরাধ।
সেকশন ৪, ৫ ও ৬-এ কোনো কোনো ক্ষেত্রে শাস্তি ৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর, ১০ বছর থেকে বাড়িয়ে ২০ বছর এবং ২০ বছর থেকে বাড়িয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করা হয়েছে। সেকশন ১৪ ও ১৫ এর অধীনে শিশু প*র্নোগ্রাফি বিষয় কাহিনী তৈরি, এসব বিষয়ক উপাদান মুছে না ফেলা এবং বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে শিশু প*র্নোগ্রাফি তৈরি করার বিষয়ে শাস্তি ১০০০ রুপি জরিমানা থেকে শুরু করে সাত বছর পর্যন্ত জেলের বিধান রাখা হয়েছে।
এই সংশোধনীতে শিশু প*র্নোগ্রাফি বিষয়ক ম্যাটেরিয়াল শিশুদের কাছে পৌঁছে দেয়াকেও শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। একে তথ্য প্রযুক্তি আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এদিকে এই সংশোধনীতে ভারতের শিশুদেরকে যৌ*ন অপরাধের হাত থেকে রক্ষায় একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বলে দাবি করা হয়েছে সরকারি এক বিবৃতিতে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.