Beanibazarview24.com
সিলেটে স্লো-মোশনে টিকটক ভিডিও বানানোর জন্য বাজি ধরে সুরমা নদীতে ঝাঁপ দেয় দুই কিশোর। এদের মধ্যে একজন তীরে ফিরতে পারলেও নিখোঁজ রয়েছে আবদুস সামাদ নামের অপরজন। শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক সংলগ্ন তেমুখি এলাকায় শাহজালাল ৩ নম্বর সেতু থেকে টিকটক ভিডিও বানাতে তারা ঝাঁপ দিলে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, নিখোঁজ আবদুস সামাদ নগরের বাগবাড়িতে পরিবারের সঙ্গে থাকতো। নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার পর তীরে ফিরে আসা অপর কিশোর মিলন এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের ভিডিও ধারণ করছিল আরেক কিশোর অভি। এরা প্রত্যেকেই নগরীর আলাদা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
চিকিৎসাধীন মিলন ও তার বন্ধু অভি জানান, এদিন তারা তিনজনে বাগবাড়ি জামে মসজিদে আসরের নামাজ পড়ে সেতু থেকে স্লো মোশনে নদীতে পড়ার ভিডিও ধারণের জন্য বাজি ধরেন।
অভি জানায়, দুই বন্ধু তার কাছে মোবাইল রেখে নদীতে ঝাঁপ দেয়। এরমধ্যে মিলন সাঁতার কেটে তীরে আসতে পারলেও সামাদ নদীতে তলিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সদর উপজেলার টুকেরবাজার ইউনিয়নের শেখপাড়ার ফারুক মিয়া বলেন, দেখলাম, তিন কিশোরের দু’জন নদীতে ঝাঁপ দিল এবং একজন মোবাইলে ভিডিও করছে। সেতুতে জুতা রেখে তারা নদীতে ঝাঁপ দিলে আমরা চিৎকার দিতে থাকি। এ সময় সেতুতে থাকা কিশোর ভিডিও করছিল। একজন তীরে ফিরতে পারলেও আরেকজন নদীতে তলিয়ে যায়। তীরে ফিরে আসা কিশোরকে জড়িয়ে কাঁদতে থাকে সেতুতে থাকা ওই কিশোর। পরে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সরে যায়।
নিখোঁজ ওই কিশোরের সন্ধানের চেষ্টা চালান স্থানীয়রা। পরে তারা জালালাবাদ থানায় বিষয়টি জানান।
কিশোর নিঁখোজের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। উৎসুক জনতাও ভীড় করেন ঘটনাস্থলে। এরপর খবর দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসকে। তবে নদীতে স্রোত বেশি থাকায় ও অন্ধকার হয়ে পড়ায় রাতে উদ্ধার কাজ শুরু করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার জেদান আল মুসা বলেন, স্রোতের কারণে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার তৎপরতা শুরু করতে পারেনি। নিঁখোজ কিশোরেরও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.