Beanibazarview24.com
ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি শুক্রবার (১২ জুলাই) থেকে ঘন্টায় ১ সেন্টিমিটার করে বাড়ছে। সন্ধ্যা ৬ টায় ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টের রেকর্ড অনুযায়ী কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৭১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হচ্ছে উপজেলার নিম্নাঞ্চল। আশংকা দেখা দিয়েছে বন্যার। জানমালের নিরাপত্তায় উপজেলা প্রশাসনের রয়েছে কড়া নজরদারী। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো।
ফেঞ্চুগঞ্জে গত কয়েকদিন থেকে মুষলধারে বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পাহাড়ী ঢলে কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। তবে আজ বিকাল ৩ টার পর থেকে প্রতি ঘন্টায় ১ সেন্টিমিটারের উপরে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ তথ্যটি শ্যামল সিলেট’কে নিশ্চিত করেছেন ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টের গেজ পাঠক মো. গিয়াস উদ্দিন মোল্লা। তিনি জানান, কুশিয়ারা নদীর বিপদসীমা হল ৮ দশমিক ৯১ সেঃমিঃ।
সন্ধ্যা ৬ টায় ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৬২ সেঃমিঃ অর্থাৎ কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৭১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি এভাবে অব্যাহত থাকলে বন্যা নিকটবর্তী জানালেন গেজ পাঠক গিয়াস উদ্দিন মোল্লা। উপজেলার নিম্নাঞ্চল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সুড়িকান্দি, সাইলকান্দি, গয়াসী, বাঘমারা, ছত্তিশ, পিঠাইটিকর, মানিককোনা, পূর্ব-ইরাশপুর, দনারাম, ভরাউট ইত্যাদী গ্রামগুলোতে কিছু কিছু ঘরবাড়ী ও রাস্তাঘাটে পানি ছুঁই ছুঁই করছে।
এ মৌসুমে ফসলী জমিতে রূপাআমন (বীজতলা) ও আউশধান উঁচু স্থানে থাকায় আশংকামুক্ত বলে জানালেন ফেঞ্চুগঞ্জের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মুহিবুর রহমান ইরান। শুক্রবার সরেজমিন উপজেলার বাঘমারা, ছত্তিশ ও পিঠাইটিকর গ্রাম পরিদর্শন করেছেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জসীম উদ্দিন।
তিনি জানান, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আংশিক আক্রান্ত হয়েছে ১০০ টি পরিবার। মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন থেকে কড়া নজরধারী রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো। প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ এবং বিদ্যালয় প্রধানদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ইউএনও।
সূত্রঃ নিউজ মিরর
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.