Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

বাড়ছে পানি, ডুবছে সিলেট







বাড়ছে পানি, ডুবছে সিলেট! প্রায় সবগুলো নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে সিলেটসহ সুনামগঞ্জের বেশকিছু এলাকা বানের পানিতে তলিয়ে গেছে। যে হারে পানি বাড়ছে, তাতে আরো নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকায় শংকিত সচেতন মহল।

বুধবার সুরমা সিলেটের কাইনাঘাটে বিপদসীমা অতিক্রম করলেও সুরমায় প্রায় ৩ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। তবে শুক্রবার সকাল থেকেই তা দুটি পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করে। সারাদিন পানি বেড়েছে। আরো বাড়বে।



সুরমার কানাইঘাট পয়েন্টের বিপদসীমা ১২ দশমিক ২৫ মিটার। সকাল ৬টায় এ পয়েন্টে পানি বইছিল ৮৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। ৯টায় তা ১ মিটার অতিক্রম করে। ১২টায় তা আরো বাড়তে থাকে এবং সন্ধ্যা ৬টায় তা বিপদসীমার ১ দশমিক ১৬ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি বাড়তে থাকায় কানাইঘাটের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।



সিলেট পয়েন্টে সুরমা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচে থাকলেও রাতেই তা অতিক্রম করেছে। এ পয়েন্টে বিপদসীমা হচ্ছে ১০ দশমিক ১৫ মিটার। সকাল ৬টায় পানি প্রবাহিত হচ্ছিল প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। ৯টায় তা আরো ২ সেন্টিমিটার বেড়েছে। ১২টায় বেড়েছে আরো ৩ সেন্টিমিটার। ৩টায় বেড়েছে আরো ১ সেন্টিমিটার। সন্ধ্যা ৬টায় বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
বরাকের অপর শাখা কুশিয়ারাও তার তিনটি পয়েন্টেই বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার শুধু শেরপুরে বিপদসীমা পেরিয়েছিল এই নদীটি।



শুক্রবার সকাল ৬টায় আমলসীদে নদীটি প্রবাহিত হচ্ছিল বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। এখানে বিপদসীমা হচ্ছে ১৪ দশমিক ৯৫ মিটার। ৯টায় পানি বাড়ে দ্বিগুণের চেয়েও বেশী, ৮৯ সেন্টিমিটার। বেড়েছে ১২টা ও ৩টায়। সর্বশেষ সন্ধ্যা ৬টায় এ পয়েন্টে পানি ছিল ১৫ দশমিক ৭৭ মিটার, মানে বিপদসীমার ১ দশমিক ৮২ সেন্টিমিটার উপরে।



শেওলায় সারাদিন পানি বেড়েছে। এ পয়েন্টে বিপদসীমা ১২ দশমিক ৫০ মিটার। সকাল ৬টায় পানি ছিল ১২ দশমিক ৫৫ মিটার। মানে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। সকাল ৯টায় অবশ্য এ পয়েন্টে পানি কিছুটা কমেছে। তবে ১২টার পর থেকে আবারও বাড়তে শুরু করে। সন্ধ্যা ৬টায় বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তখন পানি ছিল ১২ দশমিক ৮০ মিটার।

শেরপুরে কুশিয়ারা বিপদসীমা অতিক্রম করেছিল বৃহস্পতিবার। শুক্রবার তা আরো বেড়েছে। সকাল ৬টায় প্রবাহিত হচ্ছিল বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। এরপর এই পয়েন্টেও সারাদিন পানি বেড়েছে। সন্ধ্যা ৬টায় পানি ছিল ৮ দশমিক ৪০ মিটার। মানে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপরে।



সীমান্তবর্তী পাহাড়ী নদী সারির পানিও বাড়ছে। সকালে সারিঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার নিচে থাকলেও সন্ধ্যা ৬টায় তা বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ পয়েন্টে বিপদসীমা ১১ দশমিক ৭৫ মিটার, আর পানি প্রবাহিত হচ্ছিল ১২ দশমিক ১২ মিটার উপর দিয়ে।

লোভা নদীর বিপদসীমা না থাকলেও শুক্রবারও প্রতিঘন্টায় পানি বেড়েছে। সকাল ৬টায় ছিল ১৪ দশমিক ৫৫, ৯টায় ১৪ দশমিক ৫৮, ১২টায় ১৪ দশমিক ৬৮, ৩টায় ১৫ দশমিক ০২ ও সন্ধ্যা ৬টায় ছিল ১৫ দশমিক ২৬ মিটার পানি।
খবরঃ সিলেটভিউ২৪ডটকম







You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.