Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

স্ত্রী-সন্তান ফেলে ১৬ বছরের ছাত্রীকে ৩৬ বছরের শিক্ষকের বিয়ে


স্ত্রী-সন্তান ফেলে নিজ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে (১৬) বিয়ে করেছেন যশোরের শার্শা সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাসেল আহমেদ (৩৬)।

এ ঘটনায় শার্শা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার দফতরে নারী ও শিশু নি’র্যাতন দমন আইনে মামলা করার জন্য সোমবার (১৫ জুন) অভিযোগ দিয়েছেন রাসেল আহমেদের স্ত্রী শাহনাজ পারভীন লিজা (২৭)।

শিক্ষক রাসেল আহমেদ যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার কুল্লা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি ওই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (বিজ্ঞান) হিসেবে কর্মরত। তার ঘরে স্ত্রী ও নয় বছরের এক কন্যাসন্তান রয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৬ বছরের ওই ছাত্রীর ক্লাস নেয়ার পাশাপাশি প্রাইভেট পড়াতেন শিক্ষক রাসেল। সেই সুযোগে শিক্ষক রাসেল বিভিন্ন প্রলোভনে ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরই মধ্যে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে গোপনে গত ১৭ মার্চ ছাত্রীকে বিয়ে করেন রাসেল। বিষয়টি দীর্ঘদিন গোপন থাকলেও সম্প্রতি জানাজানি হয়।

স্কুলছাত্রীর চাচা জানান, রাসেল নামের ওই শিক্ষকের চরিত্র ভালো নয়। বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করেন ওই শিক্ষক। আমার অপ্রাপ্তবয়স্ক ভাতিজিকে ফুসলিয়ে বিয়ে করেছেন তিনি। লজ্জায় সমাজে আমরা মুখ দেখাতে পারি না।

স্কুলশিক্ষক রাসেলের প্রথম স্ত্রী লিজা বলেন, ২০০৬ সালে ভালোবেসে আমাকে বিয়ে করে রাসেল। আমাদের ঘরে নয় বছরের এক কন্যাসন্তান আছে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন অজুহাতে আমাকে শারীরিক ও মানসিক নি’র্যাতন করতো রাসেল। শার্শা সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চাকরি হওয়ার পর বিদ্যালয়ের অনেক মেয়ের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ায় রাসেল। এসব বিষয়ে রাসেলকে কিছু জিজ্ঞাসা করলে আমাকে একাধিকবার মেয়ের সামনে শারীরিক নি’র্যাতন করে।

তিনি আরও বলেন, আমাকে গ্রামে রেখে নাভারণে বাসা ভাড়া করে ওই ছাত্রীর সঙ্গে থাকতো রাসেল। বিষয়টি জানাজানি হলে সংসারে অশান্তির ভয়ে আমাকে ওই বাসায় নেয়। সেখানেও একাধিক মেয়েকে পড়ানোর নামে বাসায় নিয়ে আসতো। এসব বিষয় তার পরিবারকে জানানো হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টো অভিযোগ করলে আমাকে নি’র্যাতন করতো রাসেল। তাকে এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডে সবসময় সহায়তা করেছে রাসেলের খালা একই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা তাসলিমা আক্তার।

লিজা বলেন, কিছুদিন আগে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় রাসেলের এক পা ভেঙে যায়। এ সুযোগে তার খালা তাসলিমা আক্তারের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বুঝিয়ে বিদ্যালয়ের একটা রুমে ২৪ ঘণ্টা থেকে প্রাইভেট ও ক্লাস নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে ওই ছাত্রীকে নিয়ে থাকতো রাসেল। নানা অজুহাতে আমাকে গ্রামে রেখে ওই ছাত্রীর সঙ্গে রাত কাটাতো। অথচ ওই ছাত্রীর বয়সী তারও একটা মেয়ে আছে। আমি আমার মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। রাসেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

শার্শা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জাহান-ই-গুলশান বলেন, শিক্ষক রাসেলের স্ত্রী লিজার অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত রিপোর্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দফতরে দেয়া হবে। এ ঘটনায় শিক্ষক রাসেল নিজের দোষ স্বীকার করে অনুতপ্ত হয়েছেন ও ক্ষমা চেয়েছেন।

শার্শা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান বলেন, এ বিষয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তথ্যসূত্র : জাগোনিউজ২৪.কম

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.