Beanibazarview24.com
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে ইউরোপযাত্রা থামছেই না। এবার ইতালির ল্যাম্পেদুসা উপকূল থেকে নারী ও শিশুসহ পাঁচ শতাধিক অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
তিউনিসিয়া ও লিবিয়া থেকে পাঁচটি নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার সময় তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে এটিই একদিনে সর্বোচ্চ অভিবাসনপ্রত্যাশী উদ্ধারের ঘটনা বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
বিবিসির একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, লিবিয়া ও তিউনিশিয়া থেকে আসা পাঁচ শতাধিক অভিবাসন প্রত্যাশী প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট কাঠের নৌকায় করে পাড়ি দিচ্ছিলেন ভূমধ্যসাগর। উদ্দেশ্য একটাই জীবন ও জীবিকার তাগিদে স্বপ্নের ইতালিতে পাড়ি জমানো।
তাদের মধ্যে একজন বলেন, তিউনিশিয়ার অবস্থা সবাই জানি। সেখানে বেকারত্ব বেড়েই চলেছে। দেশে থেকে আমরা আর কি করবো? আমাদের কাজের প্রয়োজন, আমরা একটি উন্নত ভবিষ্যৎ চাই।
বিবিসি জানায়, শনিবার ইতালির ল্যাম্পেদুসা উপকূল থেকে বিপুল সংখ্যক ওই অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করে দেশটির কোস্টগার্ড। পরে উদ্ধারকাজে যোগ দেয় স্পেনের বেসরকারি সংস্থা অ্যাস্ট্রালও। উদ্ধার হওয়া অভিবাসন প্রত্যাশীদেরকে প্রয়োজনীয় খাবার ও পানি সরবরাহ করে তারা।
অ্যাস্ট্রালের স্বেচ্ছাসেবক বলেন, উদ্ধার হওয়া অভিবাসন প্রত্যাশীরা সবাই ভালো আছেন। তাদের নিরাপদে লাম্পেদুসায় পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে আমরা।
উদ্ধারকৃতদের মধ্যে কিছুসংখ্যক অভিবাসন প্রত্যাশী লিবিয়ায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন বলে জানা গেছে। ইউরোপে প্রবেশের লক্ষ্যে নৌকার জন্য অপেক্ষা করার সময়, তারা নির্যাতনের শিকার হন বলে অভিযোগ করেন শরনার্থীরা। তবে তারা লিবিয়াতে মিথ্যা কারাবাসের শিকার হয়েছিলেন কিনা, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ইতালি প্রশাসন।
এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে এটিই একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক অভিবাসন প্রত্যাশী উদ্ধারের ঘটনা বলে দাবি করেছেন ল্যাম্পেদুসা দ্বীপের মেয়র তোতো মারতেল্লো।
গেল মে মাসে এক হাজারেরও বেশি অভিবাসন প্রত্যাশী লাম্পেদুসা দ্বীপে ঢুকে পড়েছিলেন বলে জানা গেছে। দ্বীপটিতে ৩০০ শরণার্থীকে রাখার জন্য একটি ক্যাম্প তৈরি করা হলেও বর্তমানে সেখানে ধারণ ক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি মানুষ অবস্থান করছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.