Beanibazarview24.com
আকাশে বিমানের ভেতর সন্তান জন্ম দিয়েছেন এক আফগান নারী। তিনি যুক্তরাজ্যে যাওয়ার পথে প্রসববেদনা শুরু হয়। তিনি যাচ্ছিলেন বার্মিংহামে। আকাশপথেই তার প্রসববেদনা শুরু হয়। সোমান নুরি নামের ২৬ বছর বয়সী ওই নারী টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে চড়েছিলেন। বিমানটি যখন ৩০ হাজার ফুট উচ্চতায় তখনই ওই নারী কন্যাসন্তান প্রসব করেন।
প্লেনে যখন ওই নারীর প্রসববেদনা ওঠে সে সময় সেখানে কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। প্লেনের কেবিন ক্রুদের সহায়তায় ওই নারী সন্তান জন্ম দিয়েছেন। শিশুটির নাম রাখা হয়েছে হাওয়া, ইংরেজিতে ইভ। ওই এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মা এবং শিশু দু’জনই সুস্থ আছে। নুরি তার স্বামী তাজ মোহাম্মেত (৩০) এবং তাদের আরও দুই সন্তানকে নিয়ে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছেন।
এর আগে আমেরিকান বিমানবাহিনীর বিমানে সন্তান প্রসব করেন এক নারী। আমেরিকার বিমানবাহিনী টুইট করে এ খবর জানিয়েছে। তারা জানায়, আফগান মহিলার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়েছিল বায়ুসেনার বিমান ওড়ার পরই। বিমান তখন ২৮ হাজার ফুট উচ্চতায়।
বিমানের ভেতরে বায়ুচাপ কম থাকায় তীব্র শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল অন্তঃসত্ত্বা সেই নারীর। তার দম যেন বন্ধ হয়ে আসছিল। তা দেখে বিমানের উচ্চতা খুব দ্রুত কমিয়ে আনেন আমেরিকার বিমানবাহিনীর পাইলট। যাতে বিমানের ভিতরে বায়ুচাপের পরিমাণ বাড়ে। তখনও গন্তব্য জার্মানিতে আমেরিকার বিমানবাহিনীর ঘাঁটি থেকে কিছুটা দূরেই ছিল সি-১৭ বিমানটি।
দ্রুত আকাশপথ পেরিয়ে আমেরিকার বায়ুসেনার বিমানটি জার্মানির র্যামস্টিন এয়ারবেসে নামার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই স.ন্তান প্রসব করেন ওই আফগান মহিলা। প্রসবে সাহায্য করেন আমেরিকার বিমানবাহিনীর জওয়ানরাই। মা ও শিশুকে পরে নিয়ে যাওয়া হয় র্যামস্টিন এয়ারবেসের কাছাকাছি একটি হাসপাতালে।
আমেরিকার বিমানবাহিনীর টুইটে জানানো হয়েছে, মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ। ওই মহিলার মতো আর যারা কাবুল ছেড়ে অন্যত্র পালাতে চাইছেন, তাদের কয়েক জনকে নিয়ে শুক্রবার আমেরিকার বিমানবাহিনীর এয়ার মোবিলিটি কমান্ডের সি-১৭ বিমানটি কাবুল থেকে আকাশে ওড়ে পশ্চিম এশিয়ার উদ্দেশে। সেখানেও কাবুল থেকে আসা কয়েকজনকে নামানোর কথা ছিল। তারপর সেখান থেকে জার্মানিতে আমেরিকার র্যামস্টিন এয়ারবেসে যাওয়ার জন্য আকাশে ওড়ে বিমানটি। সেই বিমানেই ছিলেন ওই শরণার্থী আফগান নারী।
বিশৃঙ্খল কাবুল বিমানবন্দরে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে আফগানিস্তানের তালেবান যোদ্ধারা। বিমানবন্দরের প্রধান ফটকের বাইরে লোকজন যাতে সুশৃঙ্খলভাবে সারিবদ্ধ হতে পারে, তা নিশ্চিত করতে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরের সীমানার বাইরে লোকজনকে জড়ো হওয়ার অনুমোদন দিচ্ছে না তালেবান।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে। রোববার (২২ আগস্ট) ভোরেও সেখানে মানুষের দীর্ঘ সারি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। বিমানবন্দরের কাছে হুড়োহুড়িতে সাত বেসামরিক আফগান নি.হ.ত হয়েছেন।
শনিবার রাতে কাবুলের চারটি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে অস্ট্রেলিয়া। এতে অস্ট্রেলীয়, আফগান ভিসাধারী, নিউজিল্যান্ডের অধিবাসী, মার্কিন ও ব্রিটিশ নাগরিকসহ ৪০০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এমন খবর দিয়েছেন।
নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা বলে এদিন কাবুল বিমানবন্দরে যেতে নাগরিকদের নিষেধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি। যদিও আফগান ছাড়তে হাজার হাজার মানুষকে বিমানবন্দরটিতে জড়ো হতে দেখা গেছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.