Beanibazarview24.com
সারাদিন রোজা রাখার পর সব মুসলিমরা ইফতার করেন। দেখা যায় ইফতার করার পর বেশিরভাগ মানুষেরই শরীর ছেড়ে দেয় কিংবা দুর্বল লাগে। আরো বেশি ক্লান্ত লাগে। অথচ রোজা রেখে ইফতারের পর শরীর চাঙা হবার কথা। সেখানে তার উল্টোটা হয়। কিন্তু কেন এমন হয়? এই প্রশ্ন অনেকের মনেই জাগে।
মূলত খাবার খাওয়ার পর সেই খাবারকে বিভক্ত করে লিভারের কাছে পৌঁছে দিতে অন্ত্রের অনেক বেশি রক্তের প্রয়োজন হয়। এই কারণে রক্তের ওপর বেশি চাপ পরে। ফলে তখন রক্তচাপ কমে গিয়ে শরীর ক্লান্ত বোধ করে এবং ঘুম পায়।
অনেক সময় টানা না খেয়ে থাকলে এমনিতেই শরীরে গ্লুকোজ রিজার্ভ ও সঞ্চিত শক্তি ভান্ডার ফুরিয়ে আসে। তাই শেষ বেলায় শরীর শুধু বিএমআর মেইন্টেইন করার এনার্জি রাখে। ঠিক তখন আমরা যখন ইফতার করি তখন আমরা শক্তি উৎপাদনের জন্য বেশি করে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাই।
একটি খাবার যখন আমরা খাই, তা এনার্জিতে রূপান্তরিত হতে গেলে শরীরের নিজস্ব কিছু এনার্জি খরচ হয়। যেমন- ১০০ কিলোক্যালরি এনার্জি বানাতে কার্বোহাইড্রেটে ৭ কিলোক্যালোরি, ফ্যাটে ১২ কিলোক্যালরি এবং প্রোটিনে ৩০ কিলোক্যালরি শরীরের এনার্জি লস হয়। যেটা শরীরের প্রি-এক্সিসটিং এনার্জি থেকে খরচ হয়। একে ‘স্পেসিফিক ডাইনামিক অ্যাকশন’ বলে। এটা নেগেটিভ ব্যালেন্স অব এনার্জি অ্যাসিমিলেশন পর্যন্ত চলতে থাকবে। অর্থাৎ খাবার হজম না হওয়া পর্যন্ত।
আবার অতিরিক্ত খাদ্য আমাদের পাকস্থলীতে চলে আসলে আমাদের শরীরের স্প্ল্যাংনিক সার্কুলেশন অনেক বেড়ে যায়। ফলে কমে যায় ব্রেইনে রক্ত সাপ্লাই। তাই ঘুম ঘুম ভাবও হয়।
তাই এই দুর্বলতা কাটাতে ইফতারের শুরুতেই বেশি পরিমাণ খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে বারেবারে খান। এতেই শরীর চাঙা থাকবে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.