Beanibazarview24.com
সিলেটে পুলিশি হেফাজতে রায়হান আহমদের মৃ’ত্যুর ঘটনায় সাত দিনের রি’মান্ডে আছেন প্রধান অভিযু’ক্ত বরখাস্ত উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁঞা। রি’মান্ড চলাকালে গতকাল শুক্রবার রাতে তিনি হঠাৎ নিজেকে ‘অসুস্থ’ দাবি করেন। এরপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা কোনো ধরনের অসুস্থতা খুঁজে পাননি। ফলে তাঁকে আবারও রি’মান্ডে নেওয়া হয়।
এদিকে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে রায়হানকে নি’র্যা’তনকালে বদলে ফেলা শার্ট ও রায়হানের মুঠোফোন উদ্ধার করে মামলার আলামত হিসেবে সংরক্ষণ করার দাবি জানিয়েছেন তাঁর মা ছালমা বেগম। আজ শনিবার দুপুরে নগরীর আখালিয়ার নিহারিপাড়ায় রায়হানের বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এই দাবি জানানো হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই পরিদর্শক আওলাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, রি’মান্ড চলাকালে গতকাল রাতে অসুস্থতার কথা জানান আকবর। এরপর রাত নয়টার দিকে তাঁকে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা তাঁর সুস্থতার বিষয়টি জানালে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুনরায় তাঁকে রি’মান্ডে নেওয়া হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একজন চিকিৎসক প্রথম আলোকে বলেছেন, আকবর আগ বাড়িয়ে অসুস্থ বলছিলেন। কিন্তু কী অসুস্থতা, এ ব্যাপারে কিছু বলছিলেন না। প্রয়োজনীয় কিছু পরীক্ষার পর তাঁর অসুস্থতা ধরা না পড়ায় তাঁকে আবার পিবিআই নিয়ে গেছে।
গত ১০ অক্টোবর রাতে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ধরে নেওয়া হয় মো. রায়হান আহমদকে (৩৪)। সেখানে তাঁকে নি’র্যা’তন করে এসআই আকবরের নেতৃত্বাধীন একদল পুলিশ। পরদিন ১১ অক্টোবর রায়হানের মৃ’ত্যু হয়। ওই দিন রাতেই রায়হানের স্ত্রী বাদী হয়ে হেফাজতে মৃ’ত্যু (নিবারণ) আইনে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনা তদন্তে মহানগর পুলিশের অনুসন্ধান কমিটি নি’র্যা’তনের সত্যতা পাওয়ায় ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবরসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তিন পুলিশ সদস্যকে ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করে। এ ঘটনার পরপরই গা–ঢাকা দেন আকবর। পলাতক থাকার ২৭ দিন পর ৯ নভেম্বর সকালে সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত থেকে আকবরকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশের একটি দল।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.