Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

এসআই হওয়ার পরেই ‘ধানক্ষেতে’ আকবর গড়েন রাজপ্রাসাদ


সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নি’র্যাতনে যুবকের মৃ’ত্যুর অ’ভিযোগে এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া বরখাস্ত হওয়ার পর শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। এরইমধ্যে অনেকে তার গ্রামে গড়ে ওঠা বাড়ি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বলছেন, পুলিশে যোগদানের পরেই গ্রামে রাজপ্রাসাদের মতো বাড়িটি গড়ে তোলেন। তবে তার পরিবারের দাবি, বাড়িটি আকবরের নয়।

বরখাস্ত হওয়া এসআই আকবর হোসেনের এ বাড়িটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার বগাইড় গ্রামে। আর এ গ্রামে এটি সবচেয়ে প্রাসাদোপম বাড়ি। ১৫-১৬ শতাংশ জমিতে এ বাড়িটি বানানো হয়েছে। বাড়িটি বানাতে খরচ পড়েছে প্রায় এক কোটি টাকা।

জানা গেছে, আকবরের বাবা জাফর আলী ভূঁইয়া ছিলেন স্কুলশিক্ষক। তার তিন ছেলের মধ্যে আকবর সবার বড়। মেজো ভাই মোবারক হোসেন ভূঁইয়া ১১ বছর ধরে সিঙ্গাপুর প্রবাসী। সবার ছোট আরিফ হোসেন ভূঁইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে অনার্সে পড়ছেন।

আকবরের পরিবারের দাবি, বাড়িটি জাফর আলী ভূঁইয়ার পেনশনের টাকা আর সিঙ্গাপুর প্রবাসী ছেলে মোবারক হোসেন ভূঁইয়ার টাকায় বানানো। বাড়িটি এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়ার নয়।

স্থানীয়রা জানায়, পুলিশে যোগদানের পরই যেন আলাদিনের চেরাগ পেয়ে যান বরখাস্ত হওয়া এসআই আকবর। অল্প দিনেই নিজ গ্রামে গড়ে তোলেন প্রচুর সম্পদ-সম্পত্তি।

স্থানীয় বাসিন্দা জুনায়েদ ভূঁইয়া বলেন, বাড়িটি যেখানে নির্মাণ করা হয়েছে, সেটি ধানক্ষেতের জমি ছিল। এসআই আকবর বছরে এক-দুবার আসেন। ওই বাড়িটি আকবরের ভাই সিঙ্গাপুর প্রবাসী মোবারক ও তার বাবার পেনশনের টাকায় বানানো হয়েছে বলে আমরা শুনেছি। কিন্তু ঘটনার সত্যতা কতটুকু তা জানি না। তবে এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করলে সঠিক তথ্য জানা যাবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি বলেন, সিলেটে যে ঘটনা ঘটছে, তা অত্যন্ত ন্যা’ক্কারজ’নক ঘটনা। এ ধরনের ঘটনা যেন পুনরায় না ঘটে তাই সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আ’ইনি ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আকবর ও তার পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। আর তার আলিশান বাড়িটি নির্মাণের বিষটি জানা নেই।

আকবরের ছোট ভাই আরিফ বলেন, আমাদের বাড়িটি বাবার পেনশনের টাকা ও প্রবাসী ভাইয়ের পাঠানো টাকা দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। তবে গেট নির্মাণের কাজ চলছে আকবরের টাকা দিয়ে।

তিনি আরো বলেন, গত রোববার আকবরের সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়েছে। এরপর আর কোনো যোগাযোগ হয়নি।

১১ অক্টোবর সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মা’রা যান রায়হান। ৬টা ৪০ মিনিটের সময় গু’রুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন বন্দরবাজার ফাঁড়ির এএসআই আশেকে এলাহী। নিহ’ত রায়হান নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।

মা’রা যাওয়ার পর রায়হানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আ’ঘা’তের চিহ্ন পাওয়া যায়। তার হাতের নখও উপ’ড়ানো ছিল। এ ঘটনার পর পুলিশের বি’রুদ্ধে হে’ফাজতে নি’র্যাতন করে রায়হানকে মে’রে ফেলার অভিযোগ ওঠে।

এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় অ’জ্ঞা’ত ব্যক্তিদের বিরু’দ্ধে মাম’লা করেন নিহ’ত রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি।

মা’মলার পর রায়হানের মৃ’ত্যুর জন্য দায়িত্বহীনতার দায়ে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।

এরমধ্যে এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া মঙ্গলবার সকালে পুলিশ লাইন থেকে পালিয়ে গেছেন। তাকে খুঁজছে পুলিশ। বাকি ছয়জন পুলিশ লা’ইনে রয়েছেন।

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.