Beanibazarview24.com






লটারি জিতে ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে অনেকেরই। সিনেমার দৃশ্য তো বটেই, বাস্তবেও এই ঘটনার সাক্ষী বিশ্বে কম নয়। রাতারাতি দিনমজুর থেকে কোটিপতি বনে গিয়েছেন অনেকেই। তবে কেউ কেউ এই টাকার সৎ ব্যবহার করে বাকি জীবনটা সুখে কাটিয়েছেন। কেউবা অতি লোভে তাঁতি নষ্ট করেছেন। সব খুইয়ে হাত পেতেছেন অন্যের দ্বারে।




তেমনই এক ঘটনা ঘটেছে ব্রিটেনের এক নারীর ভাগ্যেও। অবশ্য তিনি যখন লটারি গেতেন তখন তিনি কিশোরী। ২০০৩ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে জ্যাকপট জিতেছিলেন ক্যালি রোগার্স। সেই অর্থের অঙ্ক লাখের ঘরে নয়, কোটির ঘরে। একেবারে ১৮ লাখ পাউন্ডের লটারি জিতেছিলেন তিনি। বাংলাদেশি টাকায় তা আজকের দিনে যা প্রায় ২১ কোটি টাকা। ব্রিটেনের কনিষ্ঠতম জ্যাকপটজয়ী ছিলেন তিনি।




জ্যাকপট জেতার ২ দশকের মধ্যে সর্বস্বান্ত হয়ে যান তিনি। এখন অন্যের সাহায্যে দিন কাটাচ্ছেন একসময়ের কোটিপতি! ১৮ কোটি টাকার মালিক কী ভাবে এত অল্প সময়ে সব খুইয়ে ফেললেন? লটারি পাওয়ার সময় পালিত মা-বাবার সঙ্গে ইংল্যান্ডের কামব্রিয়ায় থাকতেন ক্যালি। জ্যাকপট পাওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই নিকি লসন নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয়।




তারপরই দু’জন এক লাখ ৮০ হাজার পাউন্ডের একটি বাড়ি কিনে থাকতে শুরু করেন। নিকিকে বিয়ে করেন ক্যালি। তাদের দু’টি সন্তান হয়। তবে মাত্র ৫ বছরের মধ্যেই তাদের সম্পর্কে চিড় ধরে। এরপর ক্যালি একবার আ.ত্ম.হ.ত্যা.র চেষ্টাও করেছিলেন। আ.ত্ম.হ.ত্যা.র চেষ্টা করায় দুই সন্তানকে তার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মা.ন.সি.ক ভাবে আর ভেঙে পড়েছিলেন তিনি।




এরপরই উচ্ছৃখল জীবন বেছে নেন তিনি। শুধুমাত্র নিজের আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার জন্য ১৭ হাজার পাউন্ড খরচ করে স্ত.নে.র অ.স্ত্রো.প.চা.র করিয়েছিলেন ক্যালি। থেকে থাকেনি সেই উচ্ছৃখলতা, ক্র.ম.শ আরও বিলাসিতায় গা ভাসিয়ে দিতে থাকেন তিনি। রাতেরপা.র্টি, মা.দ.কের নে.শা গ্রা.স করে তাকে। তার উপর সুবিধাবাদী কিছু বন্ধু তো ছিলই।




রীতিমতো টাকা ওড়াতে শুরু করেছিলেন তিনি। নিজেই জানান, আড়াই লাখ পাউন্ড খরচ করেন শুধুমাত্র নে.শার টানে। যখন তখন বন্ধুবান্ধবদের আবদার মেটাতে মোটা টাকা খরচ করতেন। এর পাশাপাশি নিজের জন্য বড় অঙ্কের খরচ তো রয়েইছে। তার জামাকাপড়ের সংগ্রহ দেখলে তাক লেগে যাবে। ৩ লাখ পাউন্ডের ডিজাইনার জামা রয়েছে তার আলমারিতে। একসময় এমন জীবন কাটানো ক্যালি এখন জীবনধারণের জন্য নির্ভরশীল প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের উপর।
এখন নিজের ভুল বুঝতে পারলেও কিছুই আর ফিরে আসবে না। বর্তমানে একাই বাস করছেন। আত্নীয়দের থেকেও অনেক দূরে তিনি। কেননা তার উচ্ছৃখলতা সবাই দেখেছে। তাই এখন আর বিশ্বাস করতে পারে না কেউ। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। আবার এমন অনেক গল্প রয়েছে যেখানে দেখা গেছে, নিজের দোষেই মানুষ সবকিছু হারাচ্ছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.