Beanibazarview24.com
আনিসা শাহিদ—বর্তমান আফগানিস্তানে সাংবাদিকতার অন্যতম উজ্জ্বল মুখ হিসেবে পরিচিত এই নারী। এর আগে তালেবানরা যখন ক্ষমতায় ছিল, তখনই তার বেড়ে ওঠা। এক বুক সাহস নিয়ে সাংবাদিকতায় আসা এই নারীতে বর্ষসেরা সাংবাদিক নির্বাচিত করেছে আফগানিস্তানের ফ্রি স্পিচ হাব।
বাবা চেয়েছিলেন মেয়ে শিক্ষিক হবেন। কারণ আফগানিস্তানে সেটির চেয়ে নিরাপদ পেশা সম্ভবত ছিল না! কিন্তু লড়াকু মনের আনিসা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেই নির্ভীকভাবে জানিয়েছিলেন, সাংবাদিক হতে না পারলে বাড়িতে বসেই বাকি জীবন কাটিয়ে দেবেন! ব্যস… সেই থেকে শুরু। সেই আনিসাই এখন তালেবান বাহিনীর হুমকির মুখেও বিপ.জ্জন.কভাবে কাজ করছেন।
তালেবান মুক্ত আফগানিস্তানে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা নেন আনিসা। ২০০৯ সালে দেশের সব চেয়ে বড় সংবাদমাধ্যমে যোগ দেন। বাবা তত দিনে মেনে নিয়েছেন মেয়ের সিদ্ধান্ত। অনিসার জবাবে, ‘চাকরি শুরু করার পাঁচ বছর থেকেই বাবা-মা শুধু আমার নিরাপত্তা নিয়ে উ.দ্বি.গ্ন থাকতেন। কিন্তু আমি সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যাই।’
২০০১ সাল থেকে শুরু হওয়া লড়াইয়ে তালেবানদের হাতে নির্বিচারে খু.ন হয়েছেন একাধিক সাংবা.দিক। বাক্স্বাধীনতা না থাকার দেশে সাংবাদিকতা যে নিরাপদ পেশা নয়, তা প্রতিটি পদক্ষেপে টের পান তিনি। আর তাতে জে.দ বেড়ে যায় আরও। কিন্তু অনিসা পিছিয়ে আসেননি। সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের না-বলা ইতিহাস বিশ্ব.কে জানানো তার কর্তব্য।
প্রতিদিন আলাদা আলাদা রাস্তা দিয়ে সংবাদমাধ্যমের দফতরে যান আনিসা। সতর্ক থাকতে হয় ফোন ধরার সময়েও। একের পর এক সহকর্মীর মৃ.ত্যু ও নিজে নারী হওয়ার কারণে বৈ.ষ.ম্যের শিকার হওয়ার মা.ন.সিক চা.পও। অকপটে আনিসা বলেন, অসহায় লাগে, যখন দেখি শিশুরা আ.হ.ত হয়ে পড়ে রয়েছে। নি.র্যা.তি.তার চোখে জল। মনে হয় কিছুই করে উঠতে পারছি না।
চলতি বছরের এপ্রিলে আনিসাকে আফগানিস্তানে গণমাধ্যমের শ্রেষ্ঠ সাংবাদিক ও বাক্স্বাধীনতার অন্যতম মুখ হিসেবে বেছে নিয়েছে একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন। আফগানিস্তানের বর্তমান অবস্থা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কিত তিনি। আনিসা বলেন, আমি চাই, দেশের সমস্ত কোণ থেকে ভাল খবর খুঁজে আনতে। আফগানিস্তানের মানুষ শান্তি চায়, তাদের মতো আমিও একটি শান্তি.পূর্ণ আফগানিস্তানে বাঁচতে চাই।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.