Beanibazarview24.com
বরেণ্য নির্মাতা কাজী হায়াতের ছেলে কাজী মারুফ। বাবার হাত ধরে চলচ্চিত্রের নায়ক হিসেবে ঢালিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। প্রথম ছবি ‘ইতিহাস’ দিয়েই বাজিমাত করেন। এরপর ‘অন্ধকার’, ‘ক্যাপ্টেন মারুফ’, ‘দেহরক্ষী’সহ ৩৫টি সিনেমায় অভিনয় করেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি চলচ্চিত্র থেকে নিজেকে গুটিয়ে আমেরিকায় বসবাস শুরু করেন।
তবে চলচ্চিত্র থেকে নিজেকে কেনো গুটিয়ে নিয়েছেন সে বিষয়ে বেশ খোলামেলা কথা বলেছেন ইতিহাস খ্যাত এ অভিনেতা কাজী মারুফ। তিনি বলেন, ‘চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের পলিটিক্সের কারণে চলচ্চিত্র থেকে দূরে সরে যেতে হয়েছে। অপুই আমার চলচ্চিত্রের ক্যারিয়ার ধ্বংস করেছেন।’
মারুফ বলেন, ২০০৮ সালের ঘটনা। চিত্রনায়ক মান্না আঙ্কেল মারা গেলে ওই সময় অ্যাকশন নায়ক হিসেবে সবাই আমাকে নিতে চাইলেন। সে সময় মান্নান নামে এক মেকআপম্যান ছিলেন। তিনি তার প্রথম ছবিতে আমাকে নায়ক হতে অনুরোধ করেছিলেন। আমার বিপরীতে থাকবেন অপু বিশ্বাস।
তিনি জানিয়েছিলেন, আমি রাজি না হলে অপু বিশ্বাসের শিডিউল পাবে না। মান্নান ভাইয়ের অনুরোধে রাজি হই। পরবর্তীতে অপুর সাথে ১১টি সিনেমায় সাইন করি। মান্না ভাইয়ের ছবিটির শেষ দিনে অপু বলেছিলেন, আপনার মতো হিরো আমি দেখিনি। আপনি অনেক ভালো একজন মানুষ। মজার বিষয় হচ্ছে, তারপরের দিনই অপু বিশ্বাস আমার নামে তার গলার চেইন ও মোবাইল চুরির মামলা দেয়। আর যেখান থেকে এগুলো হারায় সেখানে আমি উপস্থিত ছিলাম না। অথচ অপু আমাকে চোর বানিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করায়। তার সাথে আর কাজগুলো করা হয়নি। যে কারণে তার পলিটিক্সের শিকার হয়ে চলচ্চিত্র থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে হয়।
মারুফ আরো বলেন, শুনেছিলাম আমার বাবার সঙ্গে এফডিসিতে অপু বিশ্বাসের কি একটা বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয়েছিলো। সে জন্য সে আমাকে চুরির দায়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করায়। যে কারণে তিনি আমার সাথে পলিটিক্স করেন। সে সময় অপুর সঙ্গে আমার অনেক ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব আসছিলো।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.