Beanibazarview24.com
অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে লড়াইয়ে প্রথম বাংলাদেশি নারী সাজেদা আকতার নির্বাচনের দুদিন আগে নেতিবাচক প্রচারণার তিক্ত অভিজ্ঞতা লাভ করেন। এতে বিড়ম্বনার শিকার হন তার পরিবারের সদস্য ও সমর্থকরা।
দেশটির শীর্ষ গণমাধ্যমগুলোর একটিতে এ ধরনের প্রচারণা করায় প্রাথমিকভাবে হতাশ হলেও পরে ইতিবাচকভাবেই নিয়েছেন সাজেদার সমর্থক তথা বাংলাদেশি কমিউনিটির বড় একটি অংশ।
জানা যায়, নেতিবাচক হোক আর যাইহোক দুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছেন সাজেদা। এতে মানুষের কাছে সহজে পৌঁছে গেছেন তিনি।
ঢাকা পোস্টের প্রকাশিত সংবাদে শেয়ার ও মন্তব্য করতে উৎসাহী হতে দেখা যায় সিডনির বাংলাদেশিদের । সাধারণ মানুষ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, মানুষ সফল হতে চাইলে অন্যরা পেছন থেকে টেনে ধরে। আবার কেউ কেউ বলছেন, সাজেদা আক্তার বাংলাদেশিদের প্রতিনিধিত্ব করছেন, এটা আমাদের গর্ব।
এদিকে সিডনির বাঙালি অধ্যুষিত লাকেম্বার এক প্রবীণ বাংলাদেশি বলেন, সাজেদা অসুস্থ থাকায় প্রচারণায় আসেননি, এটা নিয়ে নিউজ করা হাস্যকর। তবে মজার ব্যাপার হলো এ নিউজ দ্বারা সে ভোটারদের কাছে দ্রুত গতিতে পৌঁছে গেছে।
অন্যদিকে নিজের অবস্থান থেকে বিবৃতি দিয়েছেন সাজেদা । তিনি জানিয়েছেন, আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। আমি বরাবরই ভোটারদের কাছে গিয়েছি। এখন আমি অন্তঃসত্ত্বা, তাই শারীরিক দিক বিবেচনা করে বাসায় অবস্থান করছি, কিন্তু আমাদের টিম ওয়ার্ক চমকপদ্রভাবে চলছে। জাতীয় নির্বাচনে আমার মতো হিজাবি বাংলাদেশি নারী অস্ট্রেলিয়ার বহুজাতিক সংস্কৃতিকে তুলে ধরছে, এটাই অস্ট্রেলিয়ার সৌন্দর্য।
অন্যদিকে, সাজেদার স্বামী প্রাক্তন কাউন্সিলর শাহেজামান টিটু ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই মুহূর্তে মিডিয়ায় কথা বলার নির্দেশ নেই। আমাদের অবস্থান থেকে অভিযোগের পাল্টা উত্তর আছে। নির্বাচন শেষে আমরা গণমাধ্যমে কথা বলব।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ার প্রধান রাজনৈতিক দল লিবারেলের হয়ে (৭৮ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম হিজাবি মুসলিম নারী ) সাজেদা আক্তার সংসদীয় নির্বাচনে নাম লেখান। তিনি ওয়েস্টার্ন সিডনির ফেডারেল আসন ওয়াটসনের জন্য এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শক্তিমান রাজনীতিবিদ টনি বার্কের প্রতিপক্ষ হিসেবে। এছাড়া সম্প্রতি তিনি প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসাবে রোজল্যান্ড’র কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.