Beanibazarview24.com
প্রথমে হোটেলে চাকরি দেয়ার কথা বলে ২০-২২ বছরের তরুণী-কিশোরীদের প্র’লুব্ধ করা হতো। বিশ্বস্ততা অর্জনে বেতন হিসেবে ২০-৩০ হাজার টাকা নগদ পরিশোধও করা হতো। শুধু তাই নয় দুবাইয়ে যাওয়া-আসা বাবদ সব ধরনের খরচও দিতো দা’লাল চ’ক্র। কিন্তু দুবাই যাওয়ার পর তাদেরকে হোটেলে জি’ম্মি করে জোরপূর্বক দে’হ ব্য’বসাসহ ডা’ন্স ক্লাবে না’চতে বাধ্য করা হতো।
কাজ দেওয়ার নাম করে দুবাইয়ে ডা’ন্সবারে সহস্রাধিক নারীকে যৌ’নকর্মে বা’ধ্য করেছেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির আজম খান নামের এক ব্যক্তি। এ অভিযোগে তাকে গ্রে’প্তার করেছে বাংলাদেশ পুলিশের অপরা’ধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। নারী পা’চারকারী এ আজম খান জড়িত ছিলেন বিএনপির রাজনীতিতে খায়েশ ছিল ফটিকছড়ি আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নে নির্বাচন করার।
আজ রোববার ( ১২ জুলাই) সিআইডির সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির সং’ঘবদ্ধ অপরাধ দম’ন বিভাগের উপমহাপরিদর্শক ইমতিয়াজ আহমেদ এ তথ্য জানান।
সম্প্রতি দুবাই পুলিশ তার ব্যাপারে বাংলাদেশ দূতাবাসে জানায়। সেখানে তার পাসপোর্টও বাতিল করে দেয়। পরে এক্সিট পাস নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন আজম খান। তারপর থেকে আত্মগোপনে থাকলেও সিআইডির জা’লে ধরা পড়ে। আ’জম খানসহ তিনজনকে গ্রে’প্তার করেছে সিআইডি। অপর দুই সহযোগী হলেন আল আমিন হোসেন ওরফে ডায়ামন্ড এবং আনোয়ার হোসেন ওরফে ময়না।
দুবাইয়ে চার তারকাযুক্ত তিনটি এবং তিন তারকাবিশিষ্ট একটি হোটেলের মালিক তিনি। হোটেলগুলো হলো, ফরচুন পার্ল হোটেল অ্যান্ড ড্যান্স ক্লাব, হোটেল ফরচুন গ্র্যান্ড, হোটেল রয়েল ফরচুন ও হোটেল সিটি টাওয়ার।
সিআইডির সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির সং’ঘবদ্ধ অ’পরাধ দমন বিভাগের উপমহাপরিদর্শক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘গ’ডফা’দার আজম খান দালালের মাধ্যমে নারীদের সংগ্রহ করতেন। তাঁদের হোটেলে কাজ দেওয়ার কথা বলে ড্যা’ন্সবার ও যৌ’নকর্মে বাধ্য করা হতো। একেকজনকে ৫০ হাজার টাকা বেতন দেওয়ার কথা বলে নারীদের পা’চার করা হয়। এ কাজে আজম খানকে সহযোগিতা করেছেন কিছু ট্রাভেল এজেন্সি ও বিদেশি বিমান সংস্থা। দেশে ছয়টি হ’ত্যা মা’মলাসহ তার বিরু’দ্ধে ১৫টি মামলা রয়েছে। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি তাঁর গ্রামের বাড়ি।’
তিনি ছাড়াও দুবাইয়ে তার সঙ্গে দুই ভাই যুক্ত ছিলেন এ কাজে। রয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের অনেকে। আজম খানসহ তিনজনকে গ্রে’প্তার করেছে সিআইডি। অপর দুই সহযোগী হলেন আল আমিন হোসেন ওরফে ডায়ামন্ড এবং আনোয়ার হোসেন ওরফে ময়না।
সিআইডি জানায়, আজম খান চট্টগ্রাম ২ ফটিকছড়ি আসন থেকে বিএনপির হয়ে সংসদ নির্বাচন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। সেকারণে বিএনপিকে অর্থায়নও করতেন। তার সাথে বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সাথে ঘনিষ্ট ছবিও তার মোবাইল ফোন থেকে উ’দ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ডান্স বারে নি’র্যাতিত নারীদের বাঁচার আকুতি জানানোর অডিও ক্লিপও তার মোবাইলে পায় সিআইডি।
গত ২ জুলাই সিআইডি বাদী হয়ে লালবাগ থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। পাচারের শি’কার নারীরাও জবানব’ন্দিও দিয়েছেন। তবে কবে আ’জম খানকে কোথা থেকে ধরা হয়েছে, সে তথ্য জানায়নি সিআইডি। অভিযুক্ত ট্রাভেল এজেন্সি, বিদেশি এয়ার লাইনস এবং গ্রে’প্তারের তথ্য পরে জানানো হবে বলে সি’আইডি জানিয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.