Beanibazarview24.com






ওমানে ক’রো’নাভাই’রাসে আ’ক্রা’ন্ত হয়ে মাত্র সাত ঘণ্টার ব্যবধানে দুই সহোদরের মৃ’ত্যু হয়েছে। তারা হলেন- চট্টগ্রামের রাউজানের চিকদার ইউনিয়নের আবদুল আলীর বাড়ির মৃ’ত সোলতান আহম’দের ছে’লে আবুল কালাম (৬২) ও আবুল কাশেম (৫২)।




বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দশটায় মাস্কাট সিটির কৌলা হাসপাতা’লে আবুল কালাম ও একই সিটির রয়েল হসপিটালে আবুল কাশেম ভোর পাঁচটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মা’রা যান। উভ’য়ে ক’রো’নায় আ’ক্রা’ন্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে তাদের পরিবার নিশ্চিত করেছে।তারা উভ’য়ে মাস্কাট সিটির আম’রাত নামক স্থানে বসবাস করতেন।




সরজেমিনে দেখা গেছে, আবুল কালাম দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে ওমানে বসবাস করে আসছেন। এখানে তার স্ত্রী’’-সন্তানরাও রয়েছেন। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন তিনি।




মৃ’ত অ’পর ভাই আবুল কাশেমও বড় ভাইয়ের সঙ্গেই একই বাসায় থাকতেন। তবে, তার পরিবার দেশে থাকে। তিনি তিন কন্যা সন্তানের জনক, পেশায় ব্যবসায়ী।আবু জাফর নামক তাদের এক ভাতিজা বলেন, আম’রা যেখানে বসবাস করি এই এলাকায় কমবেশি সবাই ক’রো’নায় আ’ক্রা’ন্ত ছিলেন।




ঈদের কয়েকদিন আগে থেকে তাদের মধ্যে ক’রো’নার লক্ষণ দেখা যায়। প্রথমে প্রাথমিক চিকিৎসা, পরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেলে প্রাইভেট ক্লিনিকে, একদম শেষে সরকারি হাসপাতা’লের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই তাদের দু’জনের মৃ’ত্যু হলো।




মৃ’ত আবুল কালামের বড় ছে’লে সাইফুদ্দিন কা’মাল বলেন, ‘বাবা হাসপাতা’লে যেতে চাননি। তিনি বলেছেন তোমাদের দেখে দেখে ম’রে যাব। বাসায় থাকব। আম’রা জো’র করে অনেকটা হাসপাতা’লে ভর্তি করিয়েছিলাম। এক কঠিন বাস্তবতা আম’রা হাসপাতা’লে দেখারও সুযোগ পাইনি। অবশেষে মৃ’ত্যুর পর লা’শটা দেখতে পাচ্ছি।
’চট্টগ্রাম সমিতি ওমানের সভাপতি ইয়াসিন চৌধুরী সিআইপি বলেন, ‘দুই ভাইয়ের একই দিনে প্রবাসে মাটিতে মৃ’ত্যু খুবই হৃদয় বিদারক ঘটনা। তাদের এমন মৃ’ত্যু হলো লা’শগুলোও নিজ দেশে নেয়া যাবে না। এখানেই দাফন করতে হবে। আম’রা কমিউনিটির পক্ষ থেকে তাদের দাফন কাফনসহ নানাভাবে পাশে থেকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।’উল্লেখ্য, ক’রো’না আ’ক্রা’ন্ত হয়ে মা’রা গেল আরব রাষ্ট্রগুলোতে লা’শ দেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি নেই।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.