Beanibazarview24.com
অ’ত্যাধুনিক এফ-৩৫ ফাইটার বিমান বানানোর প্রক্রিয়ায় যু’ক্ত থেকে ইতিহাসের খাতায় নাম লেখালেন বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার অসীম রহমান। তিনি এফ-৩৫ প্রোগ্রামের ম্যানুফ্যাকচারিং ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যু’ক্তরাষ্ট্রের অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন।
অসীম রহমান নিজের দেশ ছেড়েছেন প্রায় এক দশক আগে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যু’ক্তরাষ্ট্রের সেরা একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা শেষ করে কাজ করছেন বিখ্যাত একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে।
পৃথিবীর সব ধরনের ফাইটার জেট বিমানের মধ্যে সবচেয়ে অগ্রসর মডেল ধ’রা হয় লকহিড মা’র্টিন এফ-৩৫’কে। ফাইটার বিমানটিকে নিজস্ব ঘরানার মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক এবং টিকে থাকতে সক্ষম বলেও মনে করা হয়। পৃথিবীর বেশিরভাগ মহাকাশ কৌতূহলীদের কাছেই এই ফাইটার জেট বানানোর প্রক্রিয়ায় যু’ক্ত থাকা’টা স্বপ্নের মতো ব্যাপার। কিন্তু অসীম রহমানের কাছে সেই স্বপ্নই সত্যি হয়ে ধ’রা দিয়েছিল ২০১৯ সালের শুরুতে।
সম্প্রতি অসীম রহমান জানান, কয়েক মাস আগে হিউস্টনে একটি এয়ার শোতে নিজের এফ-৩৫ বিমান উড়তে দেখার আনন্দের কথা। সেখানে তিনি বলেন, যে যু’দ্ধবিমানের সঙ্গে এত কাছ থেকে আমি জ’ড়িত ছিলাম, সেটির কর্ম’দক্ষতা ও মাধুর্য দেখার মধ্যে একটা অন্য রকম গৌরবের অনুভূতি কাজ করছিল। পরে এই বিমানের পাইলটদের সঙ্গে কথা বলার অনুভূতি তো আরও দারুণ।
জানা যায়, বাংলাদেশি এই যুবক রাজধানীর সানবীমস স্কুলে প্লে-গ্রুপ থেকে এ-লেভেল পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। আর বেড়ে ওঠা ঢাকার ধানমন্ডি ও পরে উত্তরায়। পড়াশোনার বাংলাদেশি পাঠ চুকিয়ে তিনি যু’ক্তরাষ্ট্রের সেরা একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা শেষ করেন।
এরপর দীর্ঘ দিনের চেষ্টার পরে সেখানকার নাগরিকত্ব নিয়ে অসীম রহমান দেশটির অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিতে চাকরির সুযোগ পান। এরপরই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অ’ত্যাধুনিক ফাইটার জেট এফ-৩৫ যু’দ্ধ বিমান তৈরির সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। আর হয়ে যান ইতিহাসের অংশ।
উল্লেখ্য, যু’ক্তরাষ্ট্রভিত্তিক লকহিড মা’র্টিন হল অ্যারোস্পেস টেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠানসমূহের একটি। এখানে তিনি ম্যানুফ্যাকচারিং ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নকশা ও উৎপাদন কার্যক্রম নিয়ে কাজ করেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.