Beanibazarview24.com
দক্ষিণ আফ্রিকায় একজন বাংলাদেশি নাগরিক আরেকজন বাংলাদেশি নাগরিকের হা.তে খু.ন হওয়ার অভি.যো.গ উঠেছে। ৭ লাখ টাকা দেশে পাঠাতে গিয়ে এ খু.নে.র ঘটনা সং.ঘ.টিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
১৯ জুলাই প্রিটোরিয়া শহরের নর্থ প্রিটোরিয়ায় শ্বা.স.রো.ধ করে হাফেজ রাফিউল ইসলামকে হ.ত্যা করে রা.স্তার ধা.রে লা.শ রে.খে ছবি তুলে করোনায় মৃ.ত্যু হয়েছে বলে প্রচার করে রাফিউলের ব্যবসায়িক পার্টনার অপর বাংলাদেশি নাগরিক মুহাম্মদ শরিফ।
হাফেজ রাফিউল ইসলাম মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চাঁড়িগ্রাম ইউনিয়নের বাসিন্দা। অপরদিকে রাফিউল ইসলাম খু.নে.র দায়ে অ.ভি.যু.ক্ত মুহাম্মদ শরিফ চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার পূর্ব গুর্তিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা।
রাফিউল ইসলাম খুনের ১০ দিন অ.তি.বা.হিত হওয়ার পর রাফিউলের দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী পিতা বাদল মিয়া রাফিউলের বন্ধুবান্ধব ও প্রিটোরিয়ায় বসবাসকারী অসংখ্য বাংলাদেশি নাগরিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনা আ.ক্রা.ন্ত হয়ে নয়, রাফিউল ইসলামকে শ্বা.স.রো.ধ করে খু.ন করা হয়েছে।
রাফিউলের প্রবাসী পিতা জানিয়েছেন, দেশটির নর্থওয়েস্ট প্রদেশের ব্রেস্ট এলাকার মাবুলুকা লোকেশনে শরিফের সঙ্গে জাবুলা শপের পার্টনার ছিল হাফেজ রাফিউল। রাফিউলের ছোটভাই ফজলে রাব্বি জানিয়েছেন, তার বড়ভাই রাফিউল গত বছর মায়ের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নিয়ে শরিফের সঙ্গে দোকানের পার্টনার হয়। সেই থেকে শরিফের সঙ্গে রাফিউলের পরিবারের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।
রাফিউলের পিতা বাদল মিয়া জানিয়েছেন, জুন মাসের ২৪ তারিখ রাফিউল ইসলাম বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য ৭ লাখ টাকা সমপরিমাণ ১ লাখ ২০ হাজার রেন্ড শরিফের কাছে দেয়। শরিফ টাকাগুলো সাইন সাপ্লাই চেইন প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির বিজনেস অ্যাকাউন্টে টাকাগুলো জমা নেয়। ওই অ্যাকাউন্টটি ছিল একজন লোকাল ইন্ডিয়ান নাগরিকের। ক্যারন নামের এই ইন্ডিয়ান নাগরিক শরিফের অনলাইন বিজনেস পার্টনার।
টাকা দেওয়ার এক মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও শরিফ বাংলাদেশে রাফিউলের বাড়িতে টাকা পরি.শো.ধ না করায় রাফিউল শরিফ দ্ব.ন্দ্বে লি.প্ত হয়। একপর্যায়ে শরিফ তার ই.ন্ডিয়ান পা.র্টনার ক্যারনের সহযোগিতায় গত ১৯ জুলাই শ্বা.সরো.ধ করে রাফিউলকে খু.ন করে লা.শ রা.স্তার ধারে বসিয়ে রাখে। পরে শরিফ নিজেই রাফিউলের করোনায় মৃ.ত্যু হয়েছে বলে বাংলাদেশ কমিউনিটিতে প্রচার করে।
এদিকে ২৫ তারিখ রাফিউলের লা.শ দেশে পৌঁছলে দা.ফন সম্পন্ন হয়েছে। রাফিউলের পরিবার তাদের ছেলে হ.ত্যা.র বি.চার চেয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.