Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

বৃষ্টিতে ভিজে না আবার পাখিরাও উড়ে যায় না এই দ্বীপে


প্রকৃতির বিচিত্র সব খেয়াল। কোথায় সারাবছরই বৃষ্টিপাত থাকে তো আবার কোথাও রোদ। কোনো স্থানে তো পাহাড়ের নিচে হয় বৃষ্টি আবার কোথাও বৃষ্টি পড়লেও মাটি ভিজে না। এমনই অদ্ভুত রহস্যে ঘেরা এক দ্বীপ বাল্ট্রা।

বাল্ট্রা মূলত মানববসতি শূন্য একটি দ্বীপ। দক্ষিণ আমেরিকার ইকুয়েডরের নিকটবর্তী ১৩টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জ। আর এই ১৩টি দ্বীপের একটিই হচ্ছে বাল্ট্রা। তবে এখানকার অন্য ১২টি দ্বীপ থেকে বাল্ট্রা একেবারেই আলাদা, অদ্ভুত এবং রহস্যময়।

দ্বিতীয় বিশ্বযু’দ্ধের সময় কৌশলগত কারণে এই দ্বীপপুঞ্জের কয়েকটি দ্বীপে এয়ারবেস স্থাপন করে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। তখনকার এয়ারবেসের একজন অফিসার ফ্রান্সিস ওয়াগনার এর মাধ্যমেই বিশ্ববাসী প্রথম জানতে পারে বাল্ট্রা দ্বীপের অদ্ভুত চরিত্রের কথা। এরপর অনেকেই এই দ্বীপের রহস্যময় আচরণের কথা স্বীকার করেন।

এটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় দ্বীপপুঞ্জ হওয়ায় এখানে প্রচুর বৃষ্টি হয়। তবে অদ্ভুত ব্যাপার হলো বৃষ্টির এক ফোঁটাও পড়ে না বাল্ট্রাতে। কী এক রহস্যজনক কারণে বাল্ট্রার অনেক উপর দিয়ে উড়ে গিয়ে অন্য পাশে পড়ে বৃষ্টি। বাল্ট্রা অর্ধেক পার হওয়ার পর অদ্ভুতভাবে আর এক ইঞ্চিও এগিয়ে যায় না বৃষ্টির ফোঁটা।

বৃষ্টি যত প্রবলই হোক এ যেন সেখানকার এক অমোঘ নিয়ম। বাল্ট্রাতে এলেই অস্বাভাবিক আচরণ করে নাবিক বা অভিযাত্রীর কম্পাস। সব সময় উত্তর দিক নির্দেশকারী কম্পাস এখানে কোনো সময় স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। আবার দিক-নির্দেশক কাঁটা ইচ্ছামতো ঘুরতে থাকে অথবা ভুল দিক নির্দেশ করে।

সবচেয়ে রহস্যজনক ব্যাপার হলো, বাল্ট্রা দ্বীপের উপর প্লেনে থাকাকালীন সময়েও এমন অদ্ভুত আচরণ করে কম্পাস। আবার দ্বীপ পার হলেই সব ঠিক। অন্য বারোটি দ্বীপের তুলনায় মৃত দ্বীপ বাল্ট্রায় পা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যে কারো মাথা অনেক হালকা হয়ে যায়।

অজানা অচেনা কোনো এক জায়গায় হারিয়ে যাওয়ার আশ্চর্যরকম ভালো একটা অনুভূতি আচ্ছন্ন করে ফেলে মনকে। বেশিক্ষণ এ দ্বীপে থাকলে দ্বীপ থেকে চলে আসার পর কিছুদিন সেই আশ্চর্য অনুভূতি থেকে যায়। পরে অবশ্য আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যায়।

অদ্ভুত দ্বীপ বাল্ট্রায় কোনো বৃক্ষ নেই। নেই কোনো পশুপাখি। কোনো পশুপাখি এ দ্বীপে আসতে চায় না। দ্বীপের রহস্যময়তার আবিষ্কর্তা ওয়েগনার জোর করে কিছু প্রাণীকে বাল্ট্রা এবং এর পাশের দ্বীপ সান্তাক্রুজের মধ্যবর্তী খালে ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে দেখা যায়, বাল্ট্রাকে এড়িয়ে সান্তাক্রুজের ধার ঘেঁষে চলছে প্রাণীগুলো।

শুধু তাই নয়, উড়ন্ত পাখিগুলোও উড়তে উড়তে বাল্ট্রার কাছে এসেই ফিরে যাচ্ছে। দেখে মনে হয়, যেন অদৃশ্য কোনো দেয়ালে ধাক্কা খাচ্ছে ওরা। বাল্ট্রা দ্বীপের এরকম অদ্ভুত আচরণের কোনো গ্রহণযোগ্য কারণ এখনো কেউ খুঁজে পায়নি। তবে বিজ্ঞানীরা আজো এ রহস্যের কোন কুলকিনারা করতে পারেনি।

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.