Beanibazarview24.com
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ী বাদশা মিয়ার ম’রদে’হ উ’দ্ধার করা হয়েছে। নিহ’তের দেশের বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভিত্তিপাড়া গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে।
জানা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন কেপ প্রদেশের স্ট্রেকস্প্রিট টাউনের পার্শ্ববর্তী এলাকার ডিবিঞ্জেরে নামক স্থানে বাদশা মিয়া একাই একটি গ্রোসারি দোকান চালাতেন।
শুক্রবার (৯ অক্টোবর) সকালে বাদশা মিয়ার আশপাশের বাংলাদেশিরা তার দোকান বন্ধ এবং কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশে খবর দিলে পরবর্তীতে দরজা খুলে ভেতরে বাদশা মিয়ার র’ক্তাক্ত ম’রদে’হ দেখতে পায়। প্রাথমিক আলামত দেখে পুলিশ ধারণা করছে বাদশাকে ডা’কাত দল গু’লি করে হ’ত্যা করেছে।
স্থানীয় বাংলাদেশিরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে কোনো এক সময়ে ডা’কাত দল তার দোকানে ঢুকে টাকা-পয়সা, মোবাইল, সিগারেটসহ দামি মা’লামা’ল লু’ট করার পর তাকে গু’লি করে হ’ত্যা করে চলে যায়।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্রি স্টেট প্রদেশের উইনবার্গ থেকে নিখোঁজের ১ মাস পরেও খোঁ’জ মেলেনি চার বাংলাদেশির। ২৬ আগস্ট উইনবার্গ থেকে দোকানের মা’লামা’ল কেনার জন্য গাড়ি নিয়ে বের হন তারা।
এরপর থেকে তাদের কোনো স’ন্ধান পাওয়া যায়নি। নিখোঁ’জ বাংলাদেশিরা হলেন- সাইফুল ইসলাম, মো. ফরহাদ, রাসেল ও মহসিন। চার বাংলাদেশি নিখোঁ’জের ঘটনায় ব্যবসায়িক সহযোগী দুই বাংলাদেশিসহ লেসোথোর এক নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ন’জরদারিতে রেখেছে পুলিশ।
ধারণা করা হচ্ছে, পাওনা অর্থ না দিতে তারা সং’ঘব’দ্ধ হয়ে পরিকল্পিত নিখোঁ’জের ঘটনা সাজিয়ে গাঁ ঢাকা দিয়েছে। ২৬ আগস্টের পর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবাসীদের সংগঠন বাংলাদেশ প’রিষদের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে ঘটনা উদঘা’টনে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি অপহ’রণের ঘটনাগুলোতে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা এক কমিউ’নিটি নেতা বলেন, নিখোঁ’জ চার বাংলাদেশির একজন মো. মহসিনের মোবাইল ফোনটি দক্ষিণ আফ্রিকার লিম্পোপো ফার্ম এরিয়ার পোবলার ব্রিজের আশপাশে আছে।
পুলিশ বলছে, যদি কমপক্ষে দশ মিনিট কোনো সিমকার্ড মোবাইলটিতে সচল করে রাখা হয় তাহলে যে কোনো সময় স্থান চিহ্নি’ত করে অভিযা’ন পরিচালনা করতে পারে। সে সময়ের অপেক্ষায় আছে দেশটির এন্টি কিডনাপিং গাইড।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.