Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হলেন ব্রিটেনের প্রথম হিজাব পরিহিতা এমপি আফসানা


বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি আফসানা বেগমের বিরুদ্ধে ব্রিটেনের একটি আদালতে জালিয়াতির যে অভিযোগ আনা হয়েছিল, তাতে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় খালাস পেয়েছেন। ৩১ বছর বয়সি আপসানা বেগম পূর্ব লন্ডনের পপলার অ্যান্ড লাইম আসনের এমপি। তিনি লেবার পার্টির টিকিটে এই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। খবর বিবিসি ও আরব নিউজের।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল যে, তিনি অসত্য তথ্য দিয়ে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের কাছ থেকে আবাসন ভাতা নিয়েছিলেন।

শুক্রবার লন্ডনের স্নেয়ার্সব্রুক কাউন্টি আদালতকে আপসানা বেগম জানিয়েছেন, তার আর্থিক বিষয় দেখাশোনা করতেন তার স্বামী, যিনি সব কিছু ‘নিয়ন্ত্রণ’ করতে চান এবং তার নামে আবাসনের আবেদনটি করা হয়েছিল, এটি জানার পর তিনি ‘অবাক’ হয়েছিলেন।

আফসানা বেগম আরও অভিযোগ করেন, তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনার পেছনে ‘হীন অভিপ্রায়’ কাজ করেছে। আদালত যখন তাকে নির্দোষ বলে রায় দেন, তখন আপসানা বেগমকে কাঠগড়ায় কাঁদতে দেখা যায়।

পরে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এ মামলার কারণে তার সুনামের বিরাট ক্ষতি হয়েছে এবং তাকে বিরাট দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

আফসানা বেগম বলেন, তিনি পারিবারিক নির্যাতনের শিকার। তার বিরুদ্ধে এ রকম হয়রানিমূলক অভিযোগ আনার পর গত ১৮ মাস ধরে তাকে অনলাইনে অনেক নারীবিদ্বেষী এবং ইসলামবিদ্বেষী মন্তব্যের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তাকে অনেক রকম হুমকি দেওয়া হয়েছে। তার জন্য এটি ছিল খুব কঠিন একটা সময়।

তিনি আরও বলেন, অন্য কেউ যেন এ রকম ঘটনার শিকার না হন, কীভাবে তা নিশ্চিত করা যায়, সেটি নিয়ে তিনি ভাববেন। আপসানা বেগম ২০১৯ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বড় ব্যবধানে পপলার এন্ড লাইম আসনে জয়ী হন। ২০১১ সালের ২২ জুলাই তিনি টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের হাউজিং রেজিস্টারে তালিকাভুক্ত হন আবাসন সুবিধার জন্য।

তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছিল, তা ছিল ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি থেকে ২১ মে, ২০১৩ সালের ২১ মে থেকে ২০১৪ সালের ২৪ মে, এবং ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০১৬ সালের ২১ মার্চ সময়কালে নেওয়া আবাসন সুবিধার জন্য।

অভিযোগ করা হয়েছিল, আফসানা বেগম প্রথম আবাসন সুবিধা নিয়েছিলেন তিন বেডরুমের একটি জনাকীর্ণ বাড়িতে থাকেন বলে। এই দাবির কারণে তিনি আবাসন প্রার্থীদের তালিকায় অগ্রাধিকার পেয়েছিলেন।

তবে ২০০৯ সালে আফসানা বেগমের এক আত্মীয়া যে আবেদন করেন, তাতে বলা হয়েছিল— বাড়িটিতে চারটি বেডরুম আছে।

কিন্তু আফসানা বেগম আদালতকে জানান, এই বাড়িতে বেডরুম ছিল আসলে তিনটি এবং সেখানে থাকার সময় তার নিজের কোনো আলাদা বেডরুম ছিল না।

তবে কেন তার এক আত্মীয়া বাড়িটিতে চারটি বেডরুম ছিল বলে দাবি করেন, তার ব্যাখ্যা তিনি দেননি। আফসানা বেগম পরে তার তৎকালীন স্বামী এহতাশামুল হকের সঙ্গে ভিন্ন একটা বাড়িতে চলে যান।

তবে তিনি বিষয়টি টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলকে অবহিত করেননি বলে অভিযোগ করা হয়। এ বাড়িতে তিনি দুই বছর ছিলেন।

আফসানা বেগম দাবি করেন, তার স্বামী সব কিছু ‘নিয়ন্ত্রণ’ করতে চাইত এবং জবরদস্তি করত এবং তার অর্থকড়ির বিষয়ও নিজের হাতে নিয়েছিল।

এ সময়কালে আফসানা বেগমের নামে আবাসন সুবিধা চেয়ে কাউন্সিলে আবেদন করা হয়। আফসানা বেগম এসব আবেদন করার কথা অস্বীকার করছেন। তিনি আদালতকে বলেন, এসব আবেদনের রেকর্ড দেখে তিনি অবাক হয়েছেন। আদালতে জুরিরা আপসানা বেগমকে নির্দোষ বলে মত দেওয়ার পর বিচারক তার পক্ষে রায় দেন।

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.