Beanibazarview24.com
‘ব্লু ম’সজিদে প্রবেশ করে একটি তাসবিহ ও জায়নামাজ নেই এবং কিছুক্ষণ তাসবিহ পাঠ করি। প্রায় এক ঘণ্টার মতো আমি তাসবিহ পড়ি। ম’সজিদের চারপাশ দেখে মুগ্ধ হয়ে পড়ি। ম’সজিদের ভেতরের সৌন্দর্য অ’বাক করার মতো। ভেতরে পরিবেশ অ’ত্যন্ত শান্ত ও নীরব।
আমা’র সামনে অনেক মানুষকে একসাথে নামাজ আদায় করতে দেখি। ম’সজিদের ভেতরের অবিশ্বা’স্য মুগ্ধকর দৃশ্য ও নীরব পরিবেশ উপভোগ করতে থাকি। আমাকে দেখে কেউ আওয়াজ করছেন না দেখে খুবই অ’বাক হই।’ কথাগুলো সংবাদ মাধ্যমকে বলছিলেন ব্রিটিশ অ’ভিনেত্রী আয়েশা রোজালি।
তুরস্কের বিখ্যাত ব্লু ম’সজিদ। এটি সুলতান আহমেদ ম’সজিদ নামেও পরিচিত। আর এই ম’সজিদ ভ্রমণ করে ইস’লামের প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট হন এক ব্রিটিশ মহিলা। দুই বছর আগে আয়েশা রোজালি নামের ওই ব্রিটিশ নারী এ ম’সজিদ ভ্রমণে আসেন। এরপর থেকে তিনি ইস’লাম নিয়ে গবেষণা শুরু করেন এবং ইস’লাম ধ’র্ম গ্রহণ করেন। এরপর তিনি সম্পূর্ণভাবে নিজেকে ইস’লাম প্রচারে নিয়োজিত করেন।
জানা যায়, আয়েশা রোজালি আ’মেরিকার লস এঞ্জে’লেসের বাসিন্দা। যদিও একসময় রোজালি অ’ভিনেত্রী হতে চেয়েছিলেন। অ’ভিনেত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণও নেন। তিনি মাত্র ১৪ বছর বয়স থেকে অ’ভিনয় শুরু করেন। কিন্তু ইস’লাম গ্রহণের পর রোজালি পুরোপুরি অ’ভিনয় ছেড়ে দেন। বর্তমানে তিনি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ইস’লামের বাণী প্রচার করেন।
রোজালি জানান, ‘ইস’লাম গ্রহণে আগ্রহীদের আমি সহায়তা করতে চাই। আমি চাই আরো বেশি মানুষ ইস’লামের ছায়াতলে আসুক।’এমনকি রোজালি জানান, ‘মু’সলিম হওয়ার আগে আমি কোনো ধ’র্ম অনুসরণ করতাম না। তবে ছোটবেলা থেকে একজন ঈশ্বর আছেন বলে আমা’র বিশ্বা’স ছিল। তাছাড়া আমা’র মা-বাবা ধার্মিক না হওয়ায় ধ’র্মের প্রতি আমা’র অনুরাগও ছিল না। তাই ইস’লাম গ্রহণের আগে তেমন ধার্মিক লোক আমি দেখিনি।’
তুরস্ক ভ্রমণের কথা জানিয়ে বলেন, ‘তুরস্কে এসে ধ’র্ম স’ম্পর্কে জানার আমা’র কোনো আগ্রহ ছিল না। গুগলে চার্চ করে ব্লু ম’সজিদের সন্ধান পাই। মনে মনে ভাবি যে এই ম’সজিদে আমা’র যাওয়া উচিত।’ম’সজিদ পরিদর্শন করার আগে রোজালি স্থানীয় দোকান থেকে হিজাব কিনেন। সবার কাছে আমি সম্মানিত থাকতে চাই। ‘আমি ভেবেছিলাম, চুল দৃশ্যমান রাখলে মানুষ আমা’র ওপর রাগ করবে। তাই একটি হিজাব কিনি। যেন কেউ আ’পত্তি জানাতে না পারে।’
সূত্র : পুবের কলম
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.