Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

রূপপুর বালিশকাণ্ডের আলোচিত ঠিকাদার শাহাদাতের জামিন


পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের আলোচিত বালিশকাণ্ডের অন্যতম হোতা ঠিকাদার শাহাদত হোসেনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

পাবনা জেলা ও দায়রা জজ মকবুল আহসানের আদালতে এ জামিন আবেদন করলে বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সকালে তা মঞ্জুর করা হয়। তবে এ জামিনের খবর ওইদিন কাউকে জানানো হয়নি।

জামিন পাওয়া শাহাদত হোসেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাজিন কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের সত্ত্বাধিকারী।

শাহাদতের জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘আমার হাতে জামিনের কাগজপত্র এখনো আসেনি। গত বছরে মামলা হওয়ার পর থেকেই তারা জেলে ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে তারা হাইকোর্টসহ নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন করলেও সে আবেদন নাকচ করে দেন বিচারক।’

তবে মামলাটির এখনো অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মামলার দিনগুলিতে আমাদের দুদকের আইনজীবীরা উপস্থিত থাকেন।’

বৃহস্পতিবার পাবনা জেলা ও দায়রা জজ মকবুল আহসানের আদালতে জামিন আবেদন করলে বিচারক নথি যাচাই-বাছাই শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন। এ সময় দুদকের আইনজীবী হিসেবে ওবাইদুল হক ও আব্দুল জাহিদ রানা এবং বাদী পক্ষে আইনজীবী হিসেবে সনৎ কুমার সরকার ও সাহাবুদ্দিন সবুজ উপস্থিত ছিলেন বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।

দুদকের এজাহারে বলা হয়েছে, প্রকল্পের দুইটি ভবনের জন্য কেনা বালিশের মধ্যে একটি বালিশের পেছনে ব্যয় দেখানো হয়েছে ছয় হাজার ৭১৭ টাকা। এর মধ্যে বালিশের দাম পাঁচ হাজার ৯৫৭ টাকা এবং সেই বালিশ ফ্ল্যাটে ওঠানোর খরচ ৭৬০ টাকা দেখানো হয়।

রূপপুরে ভবনের জন্য অস্বাভাবিক দামে আসবাবপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী কেনায় দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এই দুর্নীতি ও অনিয়মে ৩১ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় গত ১৩ ডিসেম্বর ১৩ জনের বিরুদ্ধে পৃথক চারটি মামলা করে দুদক।

দুদকের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন ও উপ-সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে পাবনা দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো করেছিলেন। এর মধ্যে দুইটি মামলায় শাহাদতের নাম রয়েছে বলে জানায় পাবনা দুদকের সংশ্লিষ্টরা।

মামলার পরপরই ১৩ আসামিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।

শাহাদতের জামিনের সময় আদালতে উপস্থিত থাকা দুদকের আইনজীবী ওবাইদুল হক বলেন, ‘আদালতের জামিন মঞ্জুর হওয়ার পরপরই আমরা সার্টিফাইড কপির জন্যে আবেদন করেছি। কপি পেলে আমরা দুদক ঢাকা কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেব। সেখান থেকে যে নির্দেশনা আসবে সেটাই আমরা অনুসরণ করব।’

গত বছরের ১২ ডিসেম্বর পাবনায় দুদকে এ দুই মামলা করা হয়। তারপর থেকে কারাগারেই ছিলেন শাহাদত হোসেন।

এ জামিনের পর যোগাযোগ করা হলে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মুহাম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, ‘এটা নিয়ম যে, উচ্চ আদালত কারো জামিন আবেদন নামঞ্জুর করলে নিম্নআদালত তা মঞ্জুর করতে পারে না।’
-somoynews.tv

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.