Beanibazarview24.com
যেদিন থেকে বুঝতে শিখেছিলেন, সেদিন থেকেই মুসলিমদের মনেপ্রাণে ঘৃণা করে আসছিলেন বেন বার্ড। সেই তিনিই কিনা আকস্মিক ইসলামধর্ম গ্রহণ করে ফেললেন। নেপথ্যে আর কেউ নন, লিভারপুলের মিসরীয় ফুটবলার মোহামেদ সালাহ। তাকে দেখেই এ ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বার্ড। সেখানে তিনি জানিয়েছেন কীভাবে ইসলামধর্ম গ্রহণ করলেন এবং মুসলিম হলেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন তুষিক দীন। গতকাল বৃহস্পতিবার অনুলিখন আকারে পত্রিকায় এটি ছাপা হয়েছে।
বার্ড বলেন, জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই আমি ইসলামকে ঘৃণা করে এসেছি। সদ্য সেখান থেকে সরে এসেছি। আমি মুসলিম হয়েছি। বাকি জীবনটা খাঁটি মুসলমান হিসেবে কাটাতে চাই।
বার্ড পেশায় মৌসুমি টিকিট বিক্রেতা। ইংল্যান্ডের নটিংহ্যাম ফরেস্ট ফুটবল ক্লাবে টিকিট বিক্রি করেন তিনি। সদ্য ইসলামধর্ম গ্রহণকারী এ ব্যক্তি বলেন, সালাহ প্রথম মুসলিম, যার ভেতর আমি নিজেকে খুঁজে পেয়েছি। সে যেভাবে জীবনযাপন করে, যেভাবে মানুষের সঙ্গে কথা বলে- সেটি আমার হৃদয়ে দাগ কাটে এবং পরিবর্তন আনে। পরে আমি ইসলামধর্ম গ্রহণ করি।
মুসলিমদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কোরআন সম্পর্কে বার্ড বলেন, কোরআন পড়ার সময় মানুষ ভিন্ন কিছু দেখে, যেটি মিডিয়ায় সবসময় আসে না। মুসলিম সম্প্রদায়ে আমি নতুন, এখনও শিখছি। এটা কঠিন। এটা জীবনধারার পরিবর্তন।
২৭ বছর বয়সী সালাহকে একজন আপাদমস্তক ভদ্রলোক হিসেবে চেনে গোটা বিশ্ব। মাঠ ও মাঠের বাইরে বিনয়ী চালচলন ও সমাজহিতৈষী কাজের কারণে অসংখ্যবার সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। চলতি বছর প্রভাবশালী মার্কিন ম্যাগাজিন ফোর্বসের নির্বাচিত ক্ষমতাধর ১০০ ক্রীড়াবিদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন দ্য ফারাওখ্যাত ফুটবলার।
গেল মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এক ম্যাচে সালাহর সামনে ‘বোমারু’ বলে স্লোগান দেন চেলসির সমর্থকরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এর তীব্র প্রতিবাদ করেন বার্ড। তিনি বলেন, জীবনে প্রথমবার আমি ওই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় রেগে যাই। মিথ্যা অপবাদ দেয়ায় প্রতিবাদ করি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.