Beanibazarview24.com
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী না পাওয়ায় সিলেটের এমএ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। কেননা এসকল হাসপাতাল চালাতে সরকারের অর্থ ব্যয় হচ্ছে, লাগছে জনবল ও যন্ত্রপাতি। একই কারণে দেশের আরও ১১টি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ হতে যাচ্ছে।
এরইমধ্যে একটি হাসপাতালে কোভিড-১৯ চিকিৎসা বন্ধ করা হয়েছে। এই সপ্তাহে আরও তিনটি হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
গত ২৭ অগাস্ট স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের কাছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি চিঠি পাঠায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিঞা।
এতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত রোগী ভর্তির প্রবণতা ক্রমান্বয়ে কমছে। এ কারণে প্রয়োজনীয় কিছু হাসপাতাল রেখে বাকিগুলোর কার্যক্রম দ্রুত বন্ধ করা প্রয়োজন।
কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করা হাসপাতালগুলোর মধ্যে ঢাকার পাঁচটি, চট্টগ্রামের ৬টি এবং সিলেটের একটি হাসপাতাল রয়েছে।
ঢাকার হলিফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল, ঢাকা মহানগর হাসপাতাল, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, লালকুঠি হাসপাতাল, বসুন্ধরা কোভিড হাসপাতাল।
চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বিআইটিআইটি, হলিক্রিসেন্ট হাসপাতাল, চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতাল, ভাটিয়ারি ফিল্ড হাসপাতাল, চট্টগ্রাম করোনা আইসোলেশন সেন্টার।
এছাড়া সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। তবে এ সংক্রান্ত কোনো টিঠি এখনো ওসমানী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এসে পৌঁছাইনি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে ওসমানী এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোরকে বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি পাইনি। তবে চিঠি পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে গত ৮ সেপ্টেম্বর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দেশে কোভিড সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এ বছরের এপ্রিল মাসে বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত কয়েকটি হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চুক্তি অনুযায়ী এসব হাসপাতাল কোভিড-১৯ সংক্রমিতদের চিকিৎসা দেবে। খরচ বহন করবে সরকার। তবে শুরু থেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে শয্যার তুলনায় রোগীর উপস্থিতি ছিল অনেক কম।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বুধবার সংবাদমাধ্যমকে জানান বলেন, এসব হাসপাতালে রোগী না থাকায় যন্ত্রপাতি, সম্পদ ও জনবল অলস পড়ে থাকছে।
বসুন্ধরা কোভিড হাসপাতালের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, দুই হাজারের বেশি শয্যার ওই হাসপাতালে রোগী নেই বললেই চলে। একদিন সেখানে ৩ জন রোগী ভর্তি ছিল। সেখানে ১৫০ জন চিকিৎসক, যন্ত্রপাতির খরচ, পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাস মিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা বিল হচ্ছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.