Beanibazarview24.com
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ী মাওলানা রাফিদুল ইসলামকে (২৬ .হ.ত্যা.র পর করোনায় মৃ.ত সাজিয়ে ম.র.দে.হ দেশে পাঠানোর অ.ভি.যোগ পাওয়া গেছে। তিনি উত্তরা বাইতুস সালাম মাদরাসা থেকে হেফজ সম্পন্ন করেন।
বাংলাদেশি শরিফ ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্থানীয় নাগরিক কিরণ প্যাটেলের সঙ্গে শেয়ারে দোকান দিয়ে ও অনলাইনে ব্যবসা করে আসছিলেন রাফিদুল ইসলাম (২৬)।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) নর্থ প্রিটোরিয়ায় শ্বাসরোধ করে তাকে তার ব্যবসায়িক অং.শী.দ্বার হ.ত্যা করেন বলে অভিযোগ রাফিদুলের বাবা মোহাম্মদ বাদল মিয়ার।
তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে গত জুনের শুরুতে সাত লাখ টাকা শরিফের মাধ্যমে কিরণের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে দেশে পাঠানোর জন্যে দেয়। সেই টাকা দেশে না পাঠিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকিং জ.টি.লতা দেখিয়ে দীর্ঘ দেড়মাস পর্যন্ত ঘুরিয়েছে শরিফ ও কিরণ। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝা.মেলা হয়।’
‘আমার ছেলের হ.ত্যা.কা.রী চ.ক্র তাকে করোনায় মৃ.ত সাজিয়ে দ্রুত লা.শ দেশে পাঠিয়ে দেয়। দেশে ম.র.দে.হ এলে জানাজা শেষে দাফনের আগে রাফিদুল ইসলামের গায়ে আ.ঘা.তে.র কারণে পিঠে, দুই হাতের কনুই ওপরে জমাট কালো র.ক্ত দেখা গেছে। এছাড়া, না.ক দিয়ে র.ক্ত গড়িয়ে পড়েছে এমন জ.মাট র.ক্ত পাওয়া গেছে।’
অভিযুক্ত ভারতীয় বংশোদ্ভূত কারণ প্যাটেল ও বাংলাদেশি মোহাম্মদ শরিফ
বাবা বাদল মিয়া বলেন, করোনায় মা.রা গেলে মরদেহ কীভাবে দেশে পাঠানো যায়? সেটা দক্ষিণ আফ্রিকা কিছুতেই করতে দিত না। এ থেকে বুঝতে পারছি মো. শরিফ ও কিরণ প্যাটেলের সং.ঘ.ব.দ্ধ চ.ক্র আমার ছেলের টাকা আ.ত্ম.সাৎ করতে তাকে হ.ত্যা করেছে।
তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে সহযোগিতা চাই। আমার ছেলের ম.র.দে.হ কবর থেকে তুলে ম.য়.নাতদন্তের মাধ্যমে তার মৃ.ত্যু.র সঠিক কারণ উদঘাটন করে দায়ীদের যেন শা.স্তি.র আওতায় আনা হয়।
প্রধান অভিযুক্ত ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্থানীয় নাগরিক কিরণ প্যাটেল ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলাদেশি মোহাম্মদ শরিফের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রাফিদুল ইসলাম আমার খুব কাছের মানুষ ছিল। সে তার ভালো-মন্দ সব বিষয় আমার সঙ্গে শেয়ার করত। রাফিদুল করোনায় মা.রা গেছে। আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তার চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে ছোটাছুটি করেছি।
যদি করোনায় মৃ.ত্যু হয় তাহলে ম.র.দে.হ কীভাবে দেশে পাঠানো গেল জানতে চাইলে শরিফ বলেন, ‘সবকিছু আমি করেছি। আমরা পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি।’
গত ২৫ জুলাই রাফিদুলের মরদেহ দেশে পৌঁছায়। মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চাঁড়িগ্রাম ইউনিয়নে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.