Beanibazarview24.com
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের সময় হেফাজতে ইসলামের দেশব্যাপী ‘ম.হা.তা.ণ্ড.বের ক.ঠো.র নি.ন্দা’ এবং ‘ধর্মের নামে স.ন্ত্রা.সে.র রাজনীতি’ নি.ষি.দ্ধ করার দাবি জানিয়েছে একাত্তরের ঘা.ত.ক দা.লা.ল নির্মূল কমিটি।
বুধবার (৩১ মার্চ) এক বিবৃতিতে কমিটির পক্ষ থেকে হেফাজতে ইসলামের সব ধরনের সভা সমাবেশ বন্ধ করা এবং হেফাজত-জামায়াতের মতো ‘স্বাধীনতাবিরোধী জঙ্গি মৌলবাদী স.ন্ত্রা.সী সংগঠন’ নি.ষি.দ্ধ ঘোষণার দাবি জানানো হয়।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে আসছিল হেফাজতে ইসলাম ও কয়েকটি রাজনৈতিক দল। সেই আন্দোলনে স্বাধীনতা দিবস থেকে তিন দিন ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক সহিংসতা চালায় হেফাজতে ইসলাম। সং.ঘা.তে তিন দিনে অন্তত ১১ জন নি.হ.ত হন।
এই ‘ধর্মীয় উ.ন্মা.দ.না ও উ.চ্ছৃ.ঙ্খ.লতা’ বন্ধ না করলে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে বলে হুঁ.শি.য়া.র করা হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
অন্যদিকে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় আমির জুনাইদ বাবুনগরী হু.ম.কি দিয়েছেন, দাবি পূরণ না হলে ভবিষ্যতে তারা ‘কঠিন কর্মসূচি’ দেবেন।
একাত্তরের ঘা.ত.ক দা.লা.ল নি.র্মূ.ল কমিটি তাদের বিবৃবিতে বলেছে, ‘পূর্বাহ্নে ঘোষণা দিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী মৌ.লবাদী স.ন্ত্রা..সী হেফাজতে ইসলাম মু.ক্তি.যু.দ্ধে.র সুবর্ণজয়ন্তীর উৎসব উদযাপন বানচাল করার জন্য সারা দেশে একের পর ধ্বং.সা.ত্ম.ক ঘটনা ঘটিয়েছে। বিশেষভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তারা যে না.র.কীয় তা.ণ্ড.ব চালিয়ে সুরসম্রাট আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে গত শতাব্দীর কিংবদন্তিতুল্য সঙ্গীতগুরু ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর স্মৃতিবিজড়িত নিদর্শনসমূহ ধ্বং.স. করেছে এবং যে পৈ.শা.চি.ক.তায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভে.ঙে.ছে তা আমাদের একাত্তরের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং পরবর্তীকালে আল কায়েদা ও আইএস-এর নৃশংস বর্বরতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
সুনামগঞ্জ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত তারা হিন্দু স.ম্প্র.দা.য়ের ওপরও একইভাবে হা.ম.লা এবং উপাসনালয় ধ্বংস করেছে। দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে হেফাজতের তাণ্ডবে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর সম্পৃক্ততার কথা গণমাধ্যমে বলা হলেও স্থানীয় প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে, যা হেফাজতিদের অধিকতর নৃশংসতায় প্ররোচিত করেছে।’
সংবাদপত্রে আসা খবরের বরাত দিয়ে নির্মূল কমিটি বলেছে, ‘গত ৫ দিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন স্থানে স.ন্ত্রা.সী হা.ম.লা.র জন্য ২৫টি মা.ম.লায় ১৫ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হলেও হেফাজতের মাত্র ৩৮ জন স্থানীয় নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বাকিদের রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। আমরা বহুবার বলেছি, একাত্তরে যারা ধর্মের নামে গ.ণ.হ.ত্যা ও মা.ন.বতা.বি.রোধী অ.প.রাধ করেছে, তাদেরই রাজনৈতিক ও আদর্শিক উত্তরাধিকারী হচ্ছে হেফাজতে ইসলাম, যারা ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশকে মোল্লা উমরের তালেবানি আফগানিস্তান বানাতে চায়।’
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.