Beanibazarview24.com
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. ফারজানা খানম মিথিলা ও তথ্যপ্রযুক্তি কর্মকর্তা (সহকারী প্রোগ্রামার) কাজী মঈনুল হোসেনকে ‘আপ.ত্তি.কর অ.বস্থায়’ আ.ট.ক করার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) রাতে এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত দুজন কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাতে চাটখিল বাজারের খোকন ভিডিওর গলিতে পপুলার মডেল ফার্মেসির দ্বিতীয় তলায় ডা. ফারহানা খানম মিথিলার ভাড়া বাসায় তথ্য ও প্রযুক্তি কর্মকর্তা মো. মঈনুল হোসেনকে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় আ.টক করা হয়। পরে তালা দেয়া কয়েকজনের সঙ্গে সমঝোতা করে মঈনুল হোসেন সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খন্দকার মোশতাক আহমেদ বলেন, শুনেছি মঙ্গলবার রাতে ডা. মিথিলার কাছে একটি কাজে মঈনুল হোসেন যাওয়ার পর স্থানীয়রা তাদের বাইরে থেকে তা.লাবদ্ধ করে আ.টকে রাখেন। এরপর বুধবার থেকে মিথিলা ছুটির দরখাস্ত দিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্য ও প্রযুক্তি কর্মকর্তা মো. মঈনুল হোসেন বলেন, তিনি মায়ের অসুস্থতার কারণে ঢাকায় অবস্থান করছেন।
তিনি বলেন, ডা. মিথিলা আমার পূর্বপরিচিত ছিলো। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মায়ের অসুস্থতার বিষয়ে তার পরামর্শ নিতে যাই। সেখানে তিনি একা ছিলেন। কথা বলতে বলতে রাত সাড়ে ১০টা বেজে যায়। পরে বের হওয়ার সময় দেখলাম বাইরে থেকে গেটে তা.লা লাগিয়ে আমাদের অব.রু.দ্ধ করা হয়েছে।
তবে তিনি আপ.ত্তি.কর অবস্থায় আ.ট.ক হননি বলে দাবি করেন।
ডা. ফারজানা খানম মিথিলার মোবাইল ফোনে বারবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি। পরে সাংবাদিক পরিচয়ে মেসেজ পাঠানোর পর তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এস এম মোসা (আবু সালেহ মোহাম্মদ মোসা) বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে অভিযুক্তরা উপজেলার বাইরে থাকায় এর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। তিনি এ ধরনের একটি বিষয় ফেসবুকে দেখেছেন বলে মন্তব্য করেন।
-পূর্বপশ্চিমবিডি
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.