Beanibazarview24.com
করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া এক রোগীর ময়নাতদন্ত করে বিস্মিত হয়েছেন চিকিৎসকরা। আর এ বিস্ময়ের কারণ হলো তার ফুসফুস। ৬২ বছরের ওই ব্যক্তির শরীরে ময়নাতদন্তের পর দেখা গেছে তার ফুসফুসটি চামড়ার বলের মতো শক্ত হয়ে গেছে।
এখানেই শেষ নয়, ভারতের কর্ণাটকের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির শরীরে মৃ’ত্যুর ১৮ ঘণ্টার পরেও মিলেছে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব। দেখা গেছে, তার নাসারন্ধ্র ও গলা থেকে সংগৃহীত নমুনার ভেতরে রয়ে গেছে কোভিড-১৯ সংক্রমণের চিহ্ন।
ভারতের একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, এই প্রথম কর্ণাটকে কোনো করোনা রোগীর ময়নাতদন্ত হলো।
ময়নাতদন্তটি করেছেন অক্সফোর্ড মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ড. দীনেশ রাও। গত ১০ অক্টোবর এই ময়নাতদন্ত করা হয়। এতে সময় লেগে ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট।
ড. দীনেশ রাও জানান, মৃ’ত ব্যক্তির ফুসফুসের বায়ুথলি ফেটে গিয়েছিল। এবং রক্তনালী জমাট বেধে গিয়েছিল।
মৃ’ত ব্যক্তির নাক ও গলার নমুনায় করোনার উপস্থিতি ধরা পড়লেও ত্বকে ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলেনি। ড. রাও বলছেন, কোভিড রোগীর মৃ’তদেহ সংক্রামক হতে পারে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ওই মৃ’তের ত্বকে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
ওই ব্যক্তির পরিবারের অনুমতি নিয়েই ময়নাতদন্ত করেন চিকিৎসকরা। তিনি যখন মারা যান, তখন তার পরিবারের সদস্যরা কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। সেই জন্য তারা দেহ দাবি করেননি।
ড. রাও আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইতালিতে কোভিড রোগীদের ময়নাতদন্তে যা দেখা গেছে আমার পর্যবেক্ষণ তার থেকে আলাদা। যা থেকে প্রমাণ হয়, ভারতে এই ভাইরাসের চরিত্র ভিন্ন।
শিগগিরই এই ময়নাতদন্তের পূর্ণ বিবরণ কোনো জার্নালে প্রকাশ করার পরিকল্পনা করছেন এই চিকিৎসক।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.