Beanibazarview24.com
বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের প্রায় সবাই ধর্মপ্রাণ, নামাজি। সাধারণত কোনো ওয়াক্তের নামাজ কাজা হয় না অধিকাংশ ক্রিকেটারেরই। দেশে তো বটেই, বিদেশেও দলবেঁধে নামাজ আদায় করেন মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদি হাসান মিরাজরা।
সেই ২০১৬’র ডিসেম্বর এবং ২০১৭’র জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে একবার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ইমামতিতে জুম্মার নামাজ আদায় করেছিলেন মাশরাফি, সাকিব, মুশফিক, তামিমরা।
তামিম মোবাইলে গুগল থেকে খুতবা ডাউনলোড করে দিয়েছিলেন। আর রিয়াদ সেটা দেখে পড়েছিলেন। তার ইমামতিতে টিম বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা জুম্মার নামাজ আদায় করেছিলো।
এরপর ২০১৯ সালের বিশ্বকাপেও যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে দলবেঁধে জুম্মার নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। এবার জিম্বাবুয়েতে ঈদুল আজহার দিনে কী করলেন টাইগাররা?
আগেই জানা, করোনা প্রটোকলের কারণে কোনো মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় সম্ভব নয়। কারণ, জিম্বাবুয়েতে বাংলাদেশ দল আছে কঠিন করোনা প্রটোকলের মধ্যে। জৈব সুরক্ষা বলয়ে টিম হোটেল, প্র্যাকটিস ফিল্ড আর ম্যাচ ডে’তে মাঠে যাওয়া ছাড়া আর কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই।
আজ ঈদুল আজহার দিনটি তাহলে কীভাবে কাটলো টাইগারদের? বাংলাদেশ সময় দুপুর দুইটার পর (হারারেতে তখন সকাল সাড়ে ১০টা) জাগো নিউজের সাথে মুঠোফোন আলাপে দলনেতা আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি বলেন, ‘সকালে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ইমামতিতে ঈদের নামাজ পড়েছে ক্রিকেটাররা। এবং সেটা কোনো মসজিদ বা ঈদগাহে গিয়ে নয়। টিম হোটেল ‘ক্রেস্টা লজে’র ভেতরেই একটি জায়গায় সবাই মিলে নামাজ পড়েছে। রিয়াদই ইমামতি করেছে।’
টাইগারদের দলনেতা ববি আরও জানান যে, ‘ক্রিকেটাররা আজ সকাল থেকে যে যার মতো তৈরি হয়ে, পাঞ্জাবি পরেই নামাজ আদায় করেছে। তবে মিষ্টিমুখ করতে পেরেছেন কিনা, তা জানাননি ববি।’
আগামীকাল ২২ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজ সামনে রেখে আজ ঈদের দিন হারারে সময় দুপুরে টি-টোয়েন্টি দলের প্র্যাকটিস ছিল। ববি জানালেন, ‘ক্রিকেটাররা সে প্র্যাকটিস সেশনেও অংশ নিয়েছেন।’
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.