Beanibazarview24.com
‘ইটস কামিং হোম’- ইউরো কাপের শিরোপা ঘরে রাখতে সামর্থ্যের সবটুকু নিংড়ে দিয়েছেন ফাইনাল ম্যাচের স্বাগতিক দল ইংল্যান্ডের সমর্থকরা! প্রশ্ন জাগতে পারে, শিরোপা জিততে তো খেলোয়াড়দের ল.ড়ার কথা, এখানে সমর্থক আসলো কোথা থেকে? ইংলিশ ফুটবলাররা প্রতিপক্ষ বধে সবুজ গালিচায় লড়েছেন। থ্রি লায়ন্স সমর্থকরা শিরোপার খরা কা. টাতে লড়েছেন গ্যালারি আর মাঠের বাইরে। তবে সেটি সুস্থ ফুটবলের জন্য কখনোই ইতিবাচক বার্তা দেয় না।
মেগা ফাইনালে রবিবার রাতে ইতালির মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড। ম্যাচটি হয় ইংলিশদের ঢেরা লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে। এই ম্যাচে বাজিমাত করেছে ইতালি। ২০১৮ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব উতরাতে না পারা দলটি ১৯৬৮ সালের পর আবার ইউরোপ সেরার স্বাদ পেয়েছে। ফাইনালে তারা টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে হারায় ইংল্যান্ডকে।
এ ম্যাচের আগে মাঠের বাইরে স.হিং.সতায় জড়ান ইংল্যান্ডের সমর্থকরা। টিকিট না থাকার পরেও স্বাগতিক দর্শকরা কাতারে কাতারে ওয়েম্বলির বাইরে জড়ো হয়ে জোরপূর্বক স্টেডিয়ামে ঢোকার চেষ্টা করেন। পরে বাধাপ্রাপ্ত হলে বি.য়া.রের বো.ত.ল ছুড়ে মা.রেন। ফাইনাল ম্যাচের আগে ম.দ্য.প অবস্থায় স্টেডিয়ামের বাইরে বাসে তা.ণ্ড.ব চালায় অনেক সমর্থক। এমন কি ইতালি থেকে ফাইনাল খেলা দেখতে আসা সমর্থকদের উপরেও চড়াও হন বেশকিছু উগ্র সমর্থক।
আগেই স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, টিকিট বিহীন দর্শকরা যেন ওয়েম্বলি থেকে দূরে ফ্যান জোনে ম্যাচ উপভোগ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শেষমেশ লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ মাঠে নামে। স্টেডিয়ামে কর্তৃপক্ষের অনুরোধে বিশৃঙ্খল জনতাকে বাগে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী নামাতে হয়। স্টেডিয়ামের পাশেই লেস্টার স্কোয়ারে বানানো হয়েছিল ফ্যানজোন। যাতে সমর্থকরা খেলা উপভোগ করতে পারেন। তবে সেই ফ্যান জোনে সমর্থকদের তা.ন্ড.ব চলার পর সেটি ধ্বং.স.স্তূ.পে পরিণত হয়েছে।
সেমিফাইনালে ডেনমার্কের বিপক্ষেও ন.ক্কা.রজ.নক কা.ণ্ড ঘটিইয়েছিলেন ইংলিশ সমর্থকরা। ড্যানিশ গো.লকিপার ক্যাসপার স্কিমিচেলের মুখে লেজার বিম ফেলে মনোসংযোগে বিঘ্ন ঘটাতে চেষ্টা করে তারা। ডেনমার্কের জাতীয় সঙ্গীতকেও ব্যঙ্গ করা হয়। গ্যালারিতে আতশবাজি জ্বালানো হয়। এজন্য উয়েফার পক্ষ থেকে জরিমানা করা হয় ইংল্যান্ডকে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.