Beanibazarview24.com
জাতিসংঘে কাশ্মীর ইস্যুতে জ্বালাময়ী ভাষণ দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান।
মঙ্গলবার সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে হলে কাশ্মীর সঙ্কটের সমাধান করতে হবে। এটি এখনও একটি জ্বল’ন্ত সমস্যা। জাতিসংঘের প্রস্তাব ও কাশ্মীরের মানুষের প্রত্যাশা মেনে এই সঙ্কটের সমাধান করতে বলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।
জাতিসংঘের ৭৫তম সাধারণ অধিবেশনে মঙ্গলবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে দেয়া ভাষণে এরদোগান বলেন, কাশ্মীর ইস্যু দক্ষিণ এশিয়ার শান্তির ‘মূল চাবিকাঠি’। এটি এখনো তাৎপর্যপূর্ণ একটি বিষয়। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলু’প্তির পর যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা এ সঙ্কটকে আরও জটিল করবে।
এরদোয়ান বলেন,তুরস্ক জাতিসংঘের বিধি এবং কাশ্মীরের জনগণের চাওয়া অনুযায়ী আলোচনার মাধ্যমে এই সঙ্কটের সমাধানের পক্ষে।
তুরস্ক প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যে নিয়ে ক্ষু’ব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস তিরুমুর্তি।
তিনি বলেছেন, তুরস্ককে অন্য দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান জানানো শিখতে হবে। তাদের নীতিতে এর প্রতিফলন থাকা দরকার।
টুইটারে দেয়া এক পোস্টে তিরুমূর্তি বলেন, ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মন্তব্য আমাদের চোখে পড়েছে। এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই নয়। দিল্লি তা কখনোই বরদাশত করবে না।
গত এক বছর ধরে পাকিস্তানের বন্ধু দেশ তুরস্ক আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলছে। বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখছে না ভারত। সপ্তাহখানেক আগেই তুরস্ক, পাকিস্তান এবং ওআইসির নিন্দা করেছিল ভারত। কারণ, তারা মানবাধিকার কাউন্সিলে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলেছিল। দিল্লির দাবি, আঙ্কারা যেন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য না করে।
এমন সময়ে এরদোগান জাতিসংঘে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুললেন যখন এ ইস্যুতে দৃশ্যত পাকিস্তানকে পরিত্যাগ করেছে সৌদি আরব। রিয়াদ বরং দিল্লির সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে অধিক জোর দিচ্ছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.