Beanibazarview24.com
পিকে অভিনেতা সাই গুন্ডেয়ার মা’রা গেছেন। তার মৃ’ত্যুর খবর আসে গণমাধ্যমে গত মাসের ১৩ তারিখে। জনপ্রিয় এই চলচ্চিত্রের আরেক গুরুত্বপূর্ণ অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃ’ত্যুর খবর এল ঠিক ৩০ দিন পর অর্থাৎ জুন মাসের ১৪ তারিখে। যদি লস অ্যাঞ্জেলসে মা’রা যান গুন্ডেয়ার মে মাসের ১০ তারিখে। এক মাসের ব্যবধানে চলচ্চিত্রের দুই অভিনেতার মৃ’ত্যু সত্যি সত্যিই কাকতালীয়।
মস্তিস্কের ক্যান’সার আক্রা’ন্ত হয়েছিলেন সাই গুন্ডেওয়ার। গত একবছরই সাই চিকিৎসার জন্য লস অ্যাঞ্জেলসে গিয়েছিলেন। অ’স্ত্রপ’চারও হয়েছিল তাঁর। তবে শেষরক্ষা হলো না। এই অভিনেতার মৃ’ত্যুতে সমবেদনা জানিয়ে টুইট করেছিলেন মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রী অনিল দেশমুখ।
টুইটে৩ তিনি বলেন, অভিনেতা সাই প্রসাদ গুন্ডেওয়ার, যিনি জনপ্রিয় ছবি পিকে-তে অভিনয় করে সকলের মন জয় করে নিয়েছিলেন। ক্যানসারের সঙ্গে ল’ড়াইয়ে তিনি হে’রে গিয়েছেন। তাঁর মতো প্রতিভাবান অভিনেতার মৃ’ত্য ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পক্ষে বড় ক্ষতি। পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল।
সেই অনিল দেশমুখকেই সেই পিকে ছবির আরেক অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃ’ত্যু নিয়ে কথা বলতে হলো। সুশান্তের মৃ’ত্যুর যথার্থ ত’দন্ত করা হবে বলে গণমাধ্যমকে জানান মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রী অনিল দেশমুখ।
নতুন প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ সুশান্ত সিং রাজপুত। রবিবার মুম্বাইয়ের বাড়ি থেকেই উ’দ্ধার হয় তাঁর ঝুল’ন্ত লা’শ। বাড়িতে থাকা কাগজপত্র থেকে জানা যাচ্ছে, বেশ কিছুদিন ধরেই ডিপ্রে’শনে ভুগছিলেন তিনি।
১৯৮৬ সালের ২১ জানুয়ারি পটনায় জন্মগ্রহণ করেন সুশান্ত সিংহ রাজপুত। পরবর্তীকালে দিল্লিতে চলে আসে তাঁর পরিবার। দিল্লি কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও ভর্তি হন। কিন্তু সেইসময় থেকেই থিয়েটারের দিকে ঝোঁকেন তিনি। নাচও শেখেন। তার জন্য পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি।
অভিনয়ের তাগিদ থেকেই শেষ মেশ মুম্বইয়ে চলে আসেন সুশান্ত। সেখানে ২০০৮ সালে প্রথম একতা কপূরের প্রযোজনায় ‘কিস দেশ মে হ্যাঁ মেরা দিল’ সিরিয়ালে অভিনয় করার সুযোগ পান। সিরিয়ালে অল্প দিনের মধ্যেই তাঁর চরিত্রটির মৃ’ত্যু হয়।
তবে সেখান থেকেই একতা কাপুরের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে যায় তাঁর। সেই সূত্রেই ২০০৯ সালে ‘পবিত্র রিস্তা’ সিরিয়ালে মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান তিনি। তার পর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.