Beanibazarview24.com
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কসহ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা দেশি পাসপোর্ট করা বা নবায়ন নিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। করোনাভাইরাসসহ অন্যান্য বাস্তবতায় প্রবাসীরা স্বদেশে ভ্রমণ করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন।
বেশ কয়েকজন প্রবাসীর দেওয়া তথ্য মতে, নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে অনেক প্রবাসী নবায়নের জন্য পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন। সব ধরনের ফি নেওয়াসহ আইনানুগ আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করে পাসপোর্ট জমা নেওয়া হয়েছে। এরপর আর কিছু জানেন না তাঁরা। আবেদনের পর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও নিয়মানুযায়ী তাদের পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে না। এতে তারা নানা সমস্যার মুখে পড়ছেন।
কেউ হয়তো দেশে যাবেন জরুরি কাজে। কেউবা অভিবাসনের প্রয়োজনে তাদের আগের পাসপোর্ট দেখাবেন এখানকার ইমিগ্রেশন অফিসে। কেউবা বিবাহযোগ্য সন্তানকে দেশে নিয়ে বিয়ে দেওয়ার কথাবার্তা পাকা করে রেখেছেন। উড়োজাহাজের রিটার্ন টিকিট বুকিংও করে বসে আছেন। অথচ পাসপোর্ট না পাওয়ায় তাদের সব পরিকল্পনা ভেস্তে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজার্সিতে বসবাসরত এক দম্পতি এই প্রতিবেদককে বলেন, চার মাস আগে তাদের তিনটি পাসপোর্ট নবায়নের জন্য নিউইয়র্ক কনস্যুলেট অফিসে জমা দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত পাসপোর্টের কোনো সুরাহা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা নিউইয়র্ক কনস্যুলেটে যোগাযোগ করেন।
এই দম্পতি বলেন, কনস্যুলেট অফিসের পাসপোর্ট বিভাগ থেকে দুঃখ প্রকাশ করে তাঁদের জানানো হয়, বিরাজমান করোনা পরিস্থিতিতে অনেক কিছুই তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। এ নিয়ে কনস্যুলেট অফিসের কোনো গাফিলতিও নেই বলে তাঁরা দাবি করেন।
কনস্যুলেট অফিসের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্রের ওপর নির্ভর করছে পাসপোর্টের যাবতীয় কার্যক্রম। আবেদনকারীদের কারও কারও টিপসইয়ে গরমিল থাকে, কারও স্বাক্ষরে গরমিল থাকে। ফলে দেশের পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ ওইসব আবেদনকারীর পাসপোর্ট কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে রাখেন।
জানা গেছে, সঠিক তদন্ত না করে এমন কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্তির ফলে বহু প্রবাসী বিড়ম্বনায় পড়েছেন। শিগগিরই এই সংকটের সুষ্ঠু সমাধান চান ভুক্তভোগী প্রবাসীরা। তাঁদের আশা, প্রবাসীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.