Beanibazarview24.com






পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ক্রেতাদের হাতের নাগালে পৌঁছে দিতে ৬৮০ পণ্যের দাম কমিয়েছে কাতারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, দুধ, আটা, চিনি, তেল, খেজুর, মুরগির মাংস, ম্যাকারনিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য। দেশটির বড় বড় সুপার মার্কেটগুলোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।




অন্যদিকে রমজান মাসকে কেন্দ্র করে বড় বড় স্থাপনা ও সড়ক সাজানো হয়েছে নতুন রূপে। গতবছরের ন্যায় এবারো করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকারি বিধিনিষেধ মেনে সীমিত পরিসরে চালু রয়েছে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা নাজমা, মাইজার, ফিরোজ আবদুল আজিজ। এসব এলাকায় পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, কাবাব, হালিমসহ নানা ধরনের ইফতার সামগ্রী কিনতে রেস্টুরেন্টগুলোতে ভিড় জমে উঠে।




কিন্তু শুরু পার্সেল সার্ভিস ব্যতীত হোটেলে বসে ইফতার না করার কারণে সবচেয়ে বেশি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন ব্যবসায়ীরা। নেই বাংলাদেশ কমিউনিটিরসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও আঞ্চল ভিক্তিক সংগঠনগুলোর ইফতার পার্টি। এসব সংগঠনগুলোর ইফতার পার্টি না থাকায় সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে কাতার প্রবাসী রেস্টুরেন্টগুলোর বাংলাদেশি মালিকরা।




তেমনি বাংলাদেশি অধ্যুষিত বাণিজ্যিক এলাকা নাজমায় হৈচৈ রেস্টুরেন্টের সত্ত্বাধিকারী শাখাওয়াত খান জানান, আগে রমজান মাসে ২০ থেকে ২৫টি ইফতার পার্টির আয়োজন হতো। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে গতবছরের মতো এবছরও সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে হোটেল সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।




তাছাড়া রেস্টুরেন্টগুলোতে বসে খাওয়ার নিষেধাজ্ঞা থাকায় ক্রেতাদেরও তেমন উপস্থিতি নেই। অন্যদিকে পার্সেল নিয়ে যাওয়ার বৈধতা থাকায় হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তাই কাতার সরকারের প্রণোদনা পেলে কিছুটা হলেও লোকসান কম হত বলে জানান এই ব্যবসায়ী।




অন্যদিকে বাংলাদেশ কমিউনিটির সভাপতি প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন আকন জানান, বছরব্যাপী করোনা সংক্রমণ রোধে প্রবাসীদের মাঝে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা করোনা পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কিছুটা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার ফলে অন্যান্য বছরের মতো এবার বাড়তি আনন্দ নেই প্রবাসীদের।







Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.