Beanibazarview24.com






প্রথম আসরে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট (বিপিএল) বেশ সাড়া ফেলেছিল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ওই ধারা ধরে রাখতে পারেনি। বিশ্বে নতুন নতুন ফ্র্যাঞ্জাইজি লিগ এসে জায়গা দখল করেছে আর বিপিএল নিচে নেমেছে। এবারের আসর নিয়েও ভালো খবর দিতে পারেনি বিসিবি। ডিআরএস প্রযুক্তি নেই। বিকল্প ব্যবস্থা করা হলেও আলট্রাএড, বল ট্রাকিং প্রযুক্তি নেই।




বেশ কিছু ফ্র্যাঞ্জাইজি স্পন্সর খুঁজে পেতেই হিমশিম খাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-২০ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছেন, বাজেট তৈরি করতে না পারা, ডিআরএস আনতে না পারা এগুলো বোর্ডের ব্যর্থতা। বিপিএলের মার্কেটিং টিমের ব্যর্থতা। গালফ ওয়েল বাংলাদেশ লিমিটেড-এর এক অনুষ্ঠানে তিনি বিপিএলের দায়িত্বে থাকলে এক-দুই মাসের মধ্যে সব ঠিক করে ফেলতে পারবেন বলেও মন্তব্য করেন।




সাকিব বলেন, ‘বিপিএলের জন্য বাজেট তৈরি করতে পারিনি নাকি তৈরি করতে চাইনি বলাটা কষ্টকর। চাইলে না পারার কারণ দেখি না। বাজেট নেই কারণ আমরা বাজেট তৈরি করতে পারিনি। বিপিএলের মান অর্জন করতে পারলে অবশ্যই বাজেট বড় হওয়ার কথা ছিল। ১৬-২০ কোটি জনসংখ্যার দেশে ক্রিকেটের মতো পছন্দের একটা খেলায় বাজেট থাকবে না এটা দুঃখজনক।’




স্বদিচ্ছা থাকলে বিপিএলে ডিআরএস আনা, তিন মাস আগে প্লেয়ারস ড্রাফট এবং দল চূড়ান্ত করে ফেলা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন দেশ সেরা এই ক্রিকেটার, ‘বাজেট না থাকা মার্কেটিং টিমের ব্যর্থতা। আমি তো ডিআরএস না থাকার কারণ দেখি না। তিন মাস আগে ড্রাফট হলে দুই মাস আগে দল ঠিক হবে না। খেলোয়াড়ও পাওয়া যাবে। এখন কে কখন আসবে কখন যাবে তাও কেউ জানে না।




খেলোয়াড়রা ড্রেস পায়নি। একটা যা-তা অবস্থা। এর চেয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) বেশ ভালো। কারণ ক্লাবগুলো টিম গোছাতে পারে।’
সাকিব বিশ্বাস করেন তাকে প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব দেওয়া হলে এসব সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারবেন, ‘আমাকে প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব দেওয়া হলে সবকিছু ঠিক করতে খুব বেশি হলে এক-দুই মাস লাগবে। দুই মাসও লাগার কথা না। দুই মাস অনেক দূরের কথা। সবকিছু বাদ দিয়ে আবার ড্রাফট হবে, অকশন হবে, ফ্রি টাইমে বিপিএল হবে, আধুনিক টেকনলজিও থাকবে। সম্প্রচার ভালো থাকবে। হোম-অ্যাওয়ে ভেন্যুও থাকবে।’
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.