Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

সিলেটে করোনার ভু’য়া সার্টিফিকেট বিক্রয়কারী ডা. শাহ আলমের জে’ল-জ’রিমানা


সিলেটে টাকার বিনিময়ে করোনার ভু’য়া সার্টিফিকেট দেয়ার পাশপাশি নিজে করোনা আক্রান্ত হয়ে চেম্বারে রোগী দেখা এবং ওসমানী মেডিক্যালের পরিচয় ব্যবহার করার অপরাধে ডা. এ এইচ এম শাহ আলমকে জে’ল ও জ’রিমানা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

রবিবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ অভিযান চলে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। নগরের মধুশহীদস্থ মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেডের নীচ তলায় ডা. এ এইচ এম শাহ আলমকে সাথে নিয়ে তার চেম্বারে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায়ের নেতৃত্বে অভিযান চালায় র‌্যাব-৯ এর একটি দল। এরপর র‌্যাব তাকে গ্রে’ফতার করে।

সিলেট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায় বলেন, ডা. আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তিনি তার অপ’ধের কথা স্বীকার করেছেন। পরে তাকে ৪ মাসের জে’ল ১লাখ টাকা জ’রিমানা করার পাশাপাশি অ’নাদায়ে আরও ১ মাসের জে’লা দেয়া হয়। তার বিরু’দ্ধে সব ধরণের প্রমাণ পত্র আমাদের কাছে রয়েছে।

সিলেট র‌্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামিউল আলম জানান, ডা. আলম বিদে’শযাত্রীসহ কয়েকজনকে করোনার ভু’য়া সার্টিফিকেট টাকার বিনীময়ে দিয়েছেন বলে র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেন। পরে তাকে নিয়ে তার চেম্বার মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেডে অ’ভিযান চালানো হয়।

তিনি আরও জানান, তাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে আমরা ত’দন্ত শুরু করি। এরপর তাকে র‌্যাবের কার্যালয়ে নিয়ে আসি। সেখানে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে তিনি সব অপ’রাধ স্বীকার করেন। গত ১৪ জুলাই ডা. আলম করোনায় আ’ক্রা’ন্ত হয়ে তিনি তার চেম্বারে রোগী দেখতেন নিয়মিত। পাশাপাশি তিনি সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার হিসেবে যে পদ ব্যবহার করতে তা ভু’য়া বলেও স্বীকার করেন।

জানা যায়, ডা. এ এইচ এম শাহ আলম নগরীর মধুশহীদ এলাকায় মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেডের নিচতলায় চেম্বার করেন। বিদেশযাত্রীদের জন্য বিভিন্ন দেশ ও এয়ারলাইন্স করোনা নেগেটিভ সার্টিফেকেট বাধ্যতামূলক করার পর প্রবাসীদের টার্গেট করেন ডা. শাহ আলম। বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি বিদেশযাত্রীদের কাছে খবর পৌঁছান ‘করোনা নেগে’টিভ সা’র্টিফিকেট ব্যবস্থা করে দেয়ার। ‘করোনা নেগে’টিভ’ সার্টিফিকেট দেয়ার কথা বলে বিদেশযাত্রীদের কাছ থেকে তিনি চার হাজার টাকা করে আদায় করেন।

ফ্লাইটের ৪৮ ঘন্টা আগে তিনি ওই প্রবাসীকে ডেকে নিয়ে হাতে ধরিয়ে দেন প্রত্যয়নপত্র। রোগী বা যাত্রীকে না দেখেই নিজের প্যাডে দেয়া ওই প্রত্যয়পত্রে ডা. শাহ আলম লিখে দেন, তিনি ওই ব্যক্তিকে তার চেম্বারে দেখেছেন। তার মধ্যে কোভিড-১৯ এর কোন লক্ষণ নেই।’

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.