Beanibazarview24.com
৩১ বছর পর বাবা হ’ত্যার ‘অভিনব’ প্রতিশো’ধ নিয়েছেন দুই ছেলে মো. মহসিন ও মো. হাসান। ২০১৯ সালের ওই ঘটনার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রা’সী আইয়ুব ও তার বাহিনীর দো’র্দণ্ড প্রতাপের অবসান ঘটল।
জানা গেছে, শীর্ষ সন্ত্রা’সী আইয়ুব যখন মহসিন-হাসানের চোখের সামনেই বাবা আবদুস সাত্তার তালুকদারকে গ’লা কে’টে হ’ত্যা করে, তাদের বয়স তখন তিন ও ১২ বছর। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিশো’ধের স্পৃহাও বাড়তে থাকে এতিম দুই ভাইয়ের মনে। ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর ১৩ মামলার আসামি আইয়ুবকে হ’ত্যা করে পিতৃহ’ত্যার বদলা নেন তারা।
সন্ত্রা’সী আইয়ুবকে হ’ত্যা করতে ও আইনের চোখ ফাঁ’কি দিতে পেশা’দার অপরা’ধীদের বাদ দিয়ে ইট ব্যবসায়ী আবদুল কুদ্দুস ও ট্রাকচালক আবদুল আজিজ ওরফে মানিককে ভাড়া করেন দুই ভাই। কুদ্দুসের সঙ্গে ২০ লাখ টাকায় চুক্তি করেন তারা। পরিকল্পনা অনুযায়ী আইয়ুবকে গু’লি করে হ’ত্যা করেন ট্রাকচালক আজিজ।
পুলিশের ধারণাই ছিল না, যে সন্ত্রা’সী আইয়ুবের ভ’য়ে মানুষ কাঁপে, তাকে একজন অপেশাদার-অনভিজ্ঞ ট্রাকচালক খু’ন করেছে। অভি’যুক্ত ট্রাকচালক আজিজকে গ্রে’ফতার করলেও মহসিন ও হাসানকে এখনো ধরতে পারেনি পুলিশ। তাদের পলাতক দেখিয়ে ১২ জনের বিরু’দ্ধে চার্জশিট তৈরি করেছে পিবিআই।
পিবিআই চট্টগ্রামের পরিদর্শক মোজাম্মেল হক বলেন, প্রাথমিক ধারণা ছিল- আইয়ুবকে হয়তো অন্য কোনো সন্ত্রা’সী দল হ’ত্যা করেছে। কিন্তু তদন্তে উঠে এসেছে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। গ্রেফ’তারের পর ট্রাকচালক আজিজ জানিয়েছে- পিতৃহ’ত্যার প্রতিশো’ধ নিতে মহসিন-হাসানের পরিকল্পনায় সে হ’ত্যা করেছে আইয়ুবকে। এ ঘটনায় জড়িত ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রস্তুত করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে আটজনকে গ্রে’ফতার করা হয়েছে। মহসিন, হাসানসহ বাকি ছয়জন এখনো পলা’তক।
চা’র্জশি’টভুক্ত ১২ আসামি হলেন- মো. মহসিন ও হাসান, মো. আজিম, আবদুল জলিল, মো. রুবেল, মহিন উদ্দিন, আব্দুল আজিজ ওরফে মানিক, আবদুল করিম ওরফে পুতুল, মো. মুন্সি মিয়া, মো. ইউনুস, আবদুল কুদ্দুস, মো. ইকবাল চৌধুরী ওরফে ইকবাল। হ’ত্যাকা’ণ্ডে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় মো. ওয়াকিল আহমেদ ও জাহিদুল ইসলাম ওরফে জহির নামে দুইজনকে অব্যা’হতি দিতে আবেদন করা হয়েছে।
যেভাবে হ’ত্যা করা হয় শীর্ষ সন্ত্রা’সী আইয়ুবকে
বাবার হ’ত্যাকারী আইয়ুবকে হ’ত্যার উদ্দেশ্যে আবদুল করিম পুতুল, মুন্সি মিয়া, মোহাম্মদ ইউনুস, আবদুল কুদ্দুস ও ইকবাল চৌধুরী নামে কয়েকজনের সঙ্গে বৈঠক করেন হাসান ও মহসিন। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আবদুল কুদ্দুস ভাড়া করেন আব্দুল আজিজ ওরফে মানিক, মো. আজিম, আব্দুল জলিল, মো. রুবেল ও মো. মহিন উদ্দিনকে। ২০১৯ সালের ৪ অক্টোবর তারা রাঙ্গুনিয়ার আলমশাহ পাড়ায় একটি বৈঠক করে। বৈঠকে আব্দুল জলিল, মো. রুবেল ও মো. মহিন উদ্দিনকে আইয়ুবের ওপর ন’জরদারির দায়িত্ব দেয়া হয়।
৫ অক্টোবর জলিল, রুবেল ও মহিনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকিরা আলমশাহ পাড়ায় অ’স্ত্র নিয়ে একটি সিএনজি অটোরিকশায় অবস্থান নেয়। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার লালানগর একুইল্যা পুকুর পাড়ের বসাকপাড়া এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন আইয়ুব। ওই সময় সিএনজি থেকে নেমে মোটরসাইকেলের গ’তিরোধ করে আইয়ুবকে এলোপা’তাড়ি গু’লি করে পালিয়ে যায় আজিজ। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মা’রা যান হ’ত্যাসহ ১৩ মা’মলার আ’সামি সন্ত্রা’সী আইয়ুব।
-ডেইলি বাংলাদেশ
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.