Beanibazarview24.com






চারপাশে ধ্বং.সস্তূপ আর মানুষের আ.হা.জারি। উ.দ্ধার হচ্ছে একের পর এক ম.রদে.হ। দু-একজন জী.বিত লোকও উ.দ্ধার হচ্ছে। .ধ্বং.সস্তূপের ভেতরে স্বজনের খোঁ.জ করছেন অনেকে। তুরস্কের ধ্বংস.স্তূপের নিচে চা.পা পড়া ১৫ বছরের মেয়ে ইরমাকের হাত শুধু বের হয়ে আছে। সেই হাত ধরে বসে আছেন বাবা মেসুত হানসার। তুরস্কের কাহরামানমারাস শহরের এই দৃশ্য ভূমিকম্পে বি.ধ্বস্ত এলাকাগুলোর করুণ পরিস্থিতির প্রতীকী চিত্র হয়ে এসেছে।




গত সোমবারের ভূমিকম্পে তুরস্কের দক্ষিণ ও সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে। এগুলোর ধ্বং.সস্তূপের নিচ থেকে একের পর এক লা.শ বে.র করা হচ্ছে। এখনো যারা জীবিত আছেন, তাদের উ.দ্ধারে জোর চেষ্টা চলছে। তবে বৈরী আবহাওয়া ও ভূমিকম্পে সড়ক ক্ষ.তিগ্রস্ত হওয়ায় উ.দ্ধারকর্মীরা সব জায়গায় যেতে পারছেন না।




মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এএফপির ফটোগ্রাফার অ্যাডাম আলতানের তুলে আনা কয়েকটি ছবি নাড়া দিয়েছে সবাইকে। ছবিগুলো খুবই হৃদয়বিদারক। সেগুলোতে উঠে এসেছে বাবার আর্তনাদের ছবি, প্রকৃতির কাছে মানুষের বারবার অসহায়ত্বের চিত্র।




তুরস্ক ও সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস। গতকাল তিনি বলেন, জীবন বাঁচাতে সময়ের সঙ্গে লড়াইয়ের সময় এখন। প্রতিটি মিনিট, প্রতিটি ঘণ্টা চলে যাচ্ছে আর জী.বিত মানুষকে উ.দ্ধারের সুযোগ কমে যাচ্ছে।




সত্যিকার অর্থেই এই পরিস্থিতি দেখা গেল তুরস্কের আনতাকিয়া শহরে। সেখানে একটি ভবনের ধ্বং.সস্তূপের মধ্য থেকে এক নারীর আর্তনাদ শোনা যায়। তিনি উ.দ্ধারকারীদের ডাকছিলেন। এর পাশেই বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সাংবাদিক এক শিশুর লা.শ দেখতে পান। সেখানে তখন বৃষ্টি পড়ছিল। স্থানীয় একজনের সঙ্গে ওই সাংবাদিকের কথা হয়।




ওই ব্যক্তি রয়টার্সের সাংবাদিককে বলেন, ‘ভবনের নিচে চাপা পড়া এমন অনেকেই চিৎ.কার করছে, সাহায্য চাইছে। কিন্তু কেউ আসছে না। আমরা বিধ্বস্ত।’
সিরিয়ার হামা শহরে গতকাল কয়েকটি পরিবারের মৃ.ত স্বজনদের দা.ফন সম্পন্ন হয়। সেখানে দাহান নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘প্রতিটি জায়গা এখন ভয়ংকর। আমি আমার জীবনে এমন দৃশ্য দেখিনি।’
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.