Beanibazarview24.com
নিউইয়র্ক নগরীর ব্রঙ্কসে মৌসুলু পার্কওয়ে জেরুম এভিনিউর কর্ণারে ফুটপাতে একটি ফলের দোকানদারকে মা’রধরের অ’ভিযোগে গ্রে’ফতার হয়েছেন বাংলাদেশি আবদুল খালেক।
ব্রঙ্কসের ইস্ট ২০৮ স্ট্রিট, জেরুম এভিনিউর রাস্তার ওপরেই দিনে দুপুরে স্বদেশি আবুল কালাম আজাদকে পি’টিয়ে জ’খম করেন খালেক। তার সাথে ছিলেন সহযোগি এক তাকির্শ।
জানা গেছে, ফাতেহ নামক ওই তার্কিশের ফুড-ভেন্ডার দোকান পরিচালনা করেন কমিউনিটিতে কথিত ইঞ্জিনিয়ার নামে পরিচিত মোহাম্মদ আবদুল খালেক। ঘটনার শি’কার আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমে তার ওপর প্র’কাশ্য হা’মলার বর্ণনা দিয়েছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০ ঘটিকা নিজ দোকানে ট্রাক থেকে ফল নামানোর সময় প্রথমে হা’মলা চা’লানো হয়। এরপর তিনি সরে সেখান থেকে সরে এসে পুলিশে কল করেন। পথিমধ্যে কেটে যায় ১০-১৫ মিনিট। পরবর্তীতে খালেক ও তার সহযোগি মিলে আবারো তার ওপর চ’ড়াও হয়।
সবার সামনেই ফল বিক্রেতা বাংলাদেশি আবুল কালামকে কিল ঘুঁ’ষি দিয়ে উপর্য’পূরি আ’ঘা’ত করা হয়। সেখানে স্থানীয় ইয়েমিনে ও স্পানিশ ব্যবসায়ীরাও ৯১১-এ কল দিয়ে ঘটনার বর্ণনা দেন। সাথেই সাথেই পুলিশ এসে খালেককে ও তার সহোযগি ফাতেহকে গ্রে’ফতার করে।
ভুক্তভোগির আবুল কালাম বলেন, “আমার ফলের দোকান থেকে দুই থেকে তিন ব্লক দুরেই খালেকের দোকান। আমার একই ব্যবসা করি। কিন্তু আমার দোকানে বেচাকেনা ভালো হয় বলে সে মেনে নিতে পারছে না। বেশ কয়েকদিন ধরেই আমাকে নানা ভাবে ‘হু’মকি-ধা’মকি’ দিচ্ছে খালেক ও তার সহযোগি। আজকেই তারা দু’জন মিলে আমাকে কুকুরের মতো পিটিয়ে যখম করে। আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও তারা ক্ষান্ত হয়নি। পরে, পুলিশ ও পথচারিরা আমাকে উ’দ্ধার করে। অ্যাম্বুলেন্সে এসে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।”
আহত আবুল কালাম আরও বলেন, “এই খালেক নানা সময়ে অপ’কর্ম করে জে’ল খা’টলেও তার কিছুই হচ্ছে না। সে (বেল-বন্ড) জামিনে বেরিয়ে আসে। আবার নতুন কোন অপক’র্মে লি’প্ত হয়। আমি নিরীহ মানুষ। সে আমাকেও ছাড়েনি।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানান, “খালেক হচ্ছে এক উ’গ্র প্রজাতির লোক। সে কমিউনিটিতে অনেক অপ’কর্ম করে বেড়াচ্ছেন। এর আগেই তাকে বেশ কয়েকবার গ্রে’ফতার হতে শুনেছি। তাও আবার নারীদের যৌন হয়রানি করে।”
তিনি আক্ষেপের কণ্ঠে বলেন, “খালেকের মত চিহ্নিত অপ’কর্মের হোতাকে কিভাবে কমিউনিটি গ্রহণ করছে। মাঝে মধ্যে দেখি সে বিভিন্ন সংগঠনে টাকার বিনিময়ে সংশ্লিষ্ট হচ্ছেন।”
উল্লেখ্য, নিউইয়র্কে কথিত ইঞ্জিনয়ার নামে পরিচিত খালেক এর আগেও একাধিকবার আ’টক হয়ে জেলও খেটেছেন। ২০১৭ সালের দিকে খালেকের হাতে যৌ’ন নি’র্যাতনের শি’কার হন এক বাংলাদেশি নারী। তার নাম ছিল নীপা মোনালিসা। সেসময়ে তার নামে অ’ভিযোগ উঠে বিস্তর। নিউইয়র্কের বাংলাদেশিদের কাছে পরিচিত ‘কথিত ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ খালেককে’ কমিউনিটি থেকে বয়কটের দাবিও উঠেছিল।
বাংলাদেশের কুমিল্লা লাকসামে খালেকর গ্রামের বাড়ি। তার অপ’কর্মের জন্য নিউ ইয়র্ক ভিক্তিক আঞ্চলিক সংগঠন ‘বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি-যুক্তরাষ্ট্র’ শাখা ল’জ্জিত। সংগঠনটির বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনও করেছিলেন খালেক। কিন্তু প্রতিনিয়ত কমিউনিটির অসংখ্য নারীকে যৌ’ন হয়রানি’সহ তার বিরু’দ্ধে নানা অভিযোগ উঠে।
এর ফলে, কুমিল্লা সমিতির তরফে খালেককে বয়কটের দাবি জানানো হয়। পরবর্তীতে তিনি নিজেই ‘বৃহত্তর কুমিল্লা ফাউন্ডেশন’ নামক নতুন আরেকটি একটি সংগঠন খুলে বসেন। এত কিছুর পরও থামছে না খালেকের অপ’কর্ম। এমন মন্তব্য করেন ব্রঙ্কসের এক কমিউনিটি নেতা।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.