Beanibazarview24.com
অক্সফোর্ডের ভ্যাক্সিনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। প্রথম থেকেই এই টিমের গবেষণা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অবশেষে সামনে এল প্রাথমিক রিপোর্ট।
অক্সফোর্ডের গবেষণা থেকে প্রাথমিক রিপোর্ট উঠে এসেছে, তাতে জানা যাচ্ছে যে এই ভ্যাক্সিন নিরাপদ, কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। এছাড়া, ইমিউনিটি বা প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলছে বলেও জানানো হয়েছে।
সোমবার এই প্রাথমিক রিপোর্ট আসবে বলে আগেই জানানো হয়েছিল। সোমবার অক্সফোর্ডের গবেষকরা জানিয়েছেন, ChAdOx1 nCoV-19 নামে ওই ভ্যাক্সিনের সেফটি প্রোফাইল আছে ও অ্যান্টিবডি রেসপন্স বাড়াতে সক্ষম এই ভ্যাক্সিন।’
অক্সফোর্ডের দুট পর্যায়ে ট্রায়াল হবে। তার মধ্যে এটা ছিল প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের রিপোর্ট। ব্রিটিশ পত্রিকা ‘দ্য ল্যান্সেট’-এ সেই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। পত্রিকার এডিটর রিচার্ড হর্টন ট্যুইট করে জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ের রিপোর্ট খুবই উৎসাহজনক। এই ভ্যাক্সিনে কোনও বিপদ নেই। সহ্য করাও সম্ভব।
কী লেখা আছে রিসার্চ পেপারে?
গবেষকরা লিখেছেন, ChAdOx1 nCoV-19 নামে এই ভ্যাক্সিনের কোনও বিপজ্জনক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তাঁরা জানিয়েছেন, এই ভ্যাক্সিন যে ইমিউন সিস্টেম তৈরি করছে, তা দীর্ঘদিন ধরে ভাইরাসকে মনে রাখবে বলেই আশা করা হচ্ছে। ফলে, দীর্ঘ সময়ের জন্য কাজ করবে এই ভ্যাক্সিন।
তবে লিড অথর অ্যান্ড্রু পোলার্ড জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস থেকে এই ভ্যাক্সিন কতটা নিরাপত্তা দিতে পারে এবং কত দিনের জন্য নিরাপত্তা দিতে পারে, তা জানতে এখনও কিছুটা সময় লাগবে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে এই ভ্যাক্সিন তৈরির জন্য কাজ করেছেন ফার্মা সংস্থা ‘অ্যাস্ট্রা জেনেকা’ ও গবেষকরা।
মানব দেহে পরীক্ষার আগে শুয়োর দেহে টিকা প্রয়োগ করা হয়। দেখা গেছে এটি কার্যকরী। রিপোর্টে বলছে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ উৎপাদনকারী অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে করোনার পরীক্ষামূলক টিকা তৈরির প্রকল্পটি চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছেছে।
হু বলছে, ভ্যাকসিন তৈরিতে তারাই সবথেকে এগিয়ে। গত বছর চিন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে মহামারির আকার নিয়েছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসেব, সর্বাধিক করোনা আক্রান্ত ও মৃতের দেশ আমেরিকা। লক্ষাধিক মৃত এই দেশে। তার পরেই মৃতের নিরিখে দ্বিতীয় ব্রাজিল।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.