Beanibazarview24.com
প্রতিনিয়তই নতুন নতুন চমকের সাক্ষী হচ্ছি। কোটি কোটি বছর আগেকার এসব অক্ষত জীবাশ্ম আমাদের শুধু যে হতবাক করছে তাই নয়। সেইসঙ্গে ভাবাচ্ছে ভবিষ্যতের পৃথিবীকে নিয়েও। সম্প্রতি এমনই এক আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা চিলির আতাকামা মরুভূমিতে। সেখানে পাওয়া গেছে ‘উড়ন্ত ড্রাগন’ তথা উড়ন্ত ডাইনোসরের জীবাশ্ম। পাখির মতো উড়ে বেড়াত এই অতিকায় ডাইনোসর। তাই একে বলা হতো ‘উড়ন্ত ড্রাগন’।
চিলির আতাকামা মরুভূমিতে বিজ্ঞানীরা সেই উড়ন্ত ড্রাগনের জীবাশ্ম আবিষ্কার করেছেন। এত দিন ধারণা করা হত, জুরাসিক যুগের এই ডাইনোসর কেবল উত্তর গোলার্ধেই বিচরণ করত। উড়ন্ত এ সরীসৃপ আদিম টেরোসরাসের অন্তর্গত ছিল, যারা ১৬ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে বিচরণ করত। এদের দীর্ঘ লেজ, ডানা এবং বাইরের দিকে বেরিয়ে থাকা তীক্ষ্ণ দাঁত ছিল।
এই ডাইনোসরের জীবাশ্ম প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন আতাকামা ডেজার্ট মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্টরি অ্যান্ড কালচারের কর্মকর্তা ওসালদো রোজাস। এরপর চিলি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এ নিয়ে গবেষণা চালান। দক্ষিণ গোলার্ধে উড়ন্ত ড্রাগনের অস্তিত্বের বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে জীবাশ্মবিজ্ঞান নিয়ে কাজ করা এক পত্রিকায়।
এই গবেষণার নেতৃত্ব দেওয়া চিলি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী জোনাথন অ্যালার্কন বলেন, এত দিন পর্যন্ত উড়ন্ত ড্রাগনের বিচরণ নিয়ে যা জানা ছিল, প্রকৃতপক্ষে তাদের বিস্তৃতি ছিল তার চেয়েও বেশি। শুধু তাই নয়, এই আবিষ্কার থেকে উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের প্রাণীদের সম্ভাব্য স্থানান্তর ও তাদের আন্তঃসম্পর্কের সূত্রেরও ইঙ্গিত মেলে। আর এটি এমন একটি সময়ের ইঙ্গিত দেয়, যখন পৃথিবীর অধিকাংশ দক্ষিণাঞ্চলীয় ভূমি গন্ডোয়ানা নামক এক মহা-মহাদেশে সংযুক্ত ছিল।
বিজ্ঞানী অ্যালার্কন বলেন, এসব টেরোসরাসের একটি প্রজাতির খোঁজ কিউবাতেও পাওয়া যায়। এগুলো উপকূলীয় প্রাণী ছিল। তাই তারা সম্ভবত উত্তর ও দক্ষিণে জায়গা বদল করত। অথবা তারা এ অঞ্চলে একবার এসে আর ফেরত যায়নি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.