Beanibazarview24.com






ফ্রান্সে কয়েক দশক যাবত বিভিন্ন আইনের মাধ্যমে মুসলিমদের ওপর নানা রকম বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ের হিজাব সংশ্লিষ্ট বিধি-নিষেধ অনেক মুসলিম নারী তাঁদের প্রতি বিদ্বেষ বলে মনে করছেন।
ফরাসি সরকার ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধকে সুদৃঢ় করতে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদ বিরোধী’ বিল পাস করে। এতে স্কুলে শিশুদের দিয়ে আসা মায়েদের হিজাব পরিধান নিষিদ্ধ করা হয়। তাছাড়া পাবলিক পুলে বুরকিনি পরিধানও নিষিদ্ধ করা হয়।
তাছাড়া ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের প্রকাশে ধর্মীয় পোশাক হিজাব পরিধানের বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। এর প্রতিবাদে অনলাইনে প্লাটফর্মে নিন্দায় ফেটে পড়ে ফরাসি তরুণীরা। ‘হ্যাশট্যাগহ্যান্ডসঅফমাইহিজাব’ লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রতিবাদ জানায়।
মারয়াম চোরাক একজন ফরাসি মুসলিম তরুণী। হিজাব পরিধানকে তিনি মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর আনুগত্যের প্রতীক বলে মনে করেন। কিন্তু প্রকাশ্যে হিজাব পরা নিয়ে ফরাসি সরকারের বিধি-নিষেধ আরোপ তাঁর ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করছে বলে তিনি মনে করেন।
মারয়াম বলেন, ‘হিজাব আমার পরিচয়। এ পরিচয় অপসারণে বাধ্য করা খুবই মানহানিকর। আমি জানি না, তাঁরা কেন এ ধরনের বৈষম্যমূলক আইন পাস করতে চান।’
ইউরোপে সংখ্যালঘু সবচেয়ে বেশি মুসলিম ফ্রান্সে বসবাস করে। কট্টর ধর্মনিরপেক্ষ এই দেশে প্রকাশ্যে ধর্মীয় পোশাক পরিধান দীর্ঘকালের বিতর্কিত একটি ইস্যু। দেশটির সরকারি স্কুলগুলোতে ২০০৪ সালে সর্বপ্রথম মুসলিম নারীদের স্কাফ পরা নিষিদ্ধ করা হয়। ২০১০ সালে দেশটির প্রকাশ্যে যেমন রাস্তা, পার্ক, গণপরিবহন ও সরকারি অফিসগুলোতে নিকাব পরিধান নিষিদ্ধ করা হয়।
সংশোধনী বিলটি সব ধরনের ধর্মীয় প্রতীকের ওপর নিষেধাজ্ঞা সংশ্লিষ্ট হলেও আইনটির বিরোধী পক্ষ এটিকে মুসলিমদের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে জানান। এ নিষেধাজ্ঞা আইন তরুণদের রক্ষা করবে বলে আইন প্রণেতাদের উদ্দেশ্যে সিনেটর ক্রিশ্চিয়ান বিলহ্যাক বলেছিলেন। তাছাড়া সন্তানদের ওপর কোনো বিশ্বাস চাপিয়ে দেওয়া বাবা-মায়ের অনুচিত বলে জানিয়েছেন তিনি।
সূত্র : রয়টার্স
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.