Beanibazarview24.com






ফ্রান্সে ১৮ বছরের কম বয়সি নারীদের প্রকাশ্যে হিজাব নিষিদ্ধ করে আইন পাশ করা হয়েছে। শনিবার প্রেসিডেন্ট ই’মানুয়েল ম্যাক্রোঁর আনা বিলটি পাশ করে দেশটির সিনেট। বিতর্কিত এই বিল পাশের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র নিন্দা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে।
আলজাজিরার বরাতে জানা যায়, ফরাসি সরকার বলছে, বিচ্ছিন্নতাবাদবিরোধী এই আইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের সেকুলার ব্যবস্থাকে গতিশীল করা। কিন্তু সমালোচকরা বলছে, মূলত দেশটির মু’সলিম সংখ্যালঘুদের টার্গেট করতেই এমন আইন আনছে ফ্রান্স সরকার।
এদিকে ফ্রান্সের মু’সলিম তরুণীরা এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মু’সলিম, অমু’সলিম নারীরা এ বিলের বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
ফ্রান্সের মু’সলিম নারীরা তাদের নাগরিক ও মানবাধিকারের ক্রমবর্ধমান লঙ্ঘন এবং মু’সলিম নারীদের ইচ্ছাকে স্বীকৃতি জানাতে ফরাসি সরকারের অনীহার বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
মু’সলিম নারীরা সাধারণত মা’থা ঢাকার জন্য যে স্কার্ফ ব্যবহার করে থাকেন তাকে হিজাব বলে। কিন্তু ফ্রান্সে কয়েক দশক ধরেই এটা বিতর্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সম্প্রতি ফরাসি সরকার যে তথাকথিত ‘বিচ্ছিন্নতাবাদবিরোধী’ আইন আনতে চাচ্ছে তারই অংশ হিসাবে এমন পদক্ষেপ নিল সিনেট।
এর আগে ২০১১ সালের এপ্রিলে ফ্রান্স নারীদের হিজাব অ’বৈধ করে বোরকা বা নিকাব পরা মু’সলিম নারীদের জন্য জ’রিমানা আরোপ করে এবং অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ডেনমা’র্ক এবং বুলগেরিয়াসহ অনেক ইউরোপীয় দেশে একই নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়।
নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, ইতালি ও স্পেনের কিছু অংশেও হিজাব স’ম্পর্কিত আংশিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.