Beanibazarview24.com
আশির দশকে যখন বলিউডে অ’ভিনয় শুরু করেন, তখন দুচোখে ছিল নায়ক হওয়ার স্বপ্ন। হাতেগোনা কয়েকটি ছবিতে সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারলেও চাঙ্কি পাণ্ডে কোনোদিন ‘সত্যিকারের হিরোর‘ তকমা পাননি। এক সময় বাংলাদেশে বিভিন্ন চরিত্রে অ’ভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান। ঢাকা থেকে ফিরে তার উপলব্ধি হয়, আর কোনোদিন হিরো হতে পারবেন না।
চাঙ্কি পাণ্ডেকে এখন দেখা যাবে অভ’য়-২ ওয়েব সিরিজে। এখানে শতভাগ খল চরিত্রে অ’ভিনয় করবেন। এই ওয়েব সিরিজে অ’ভিনয়ের প্রসঙ্গে ভা’রতের সংবাদ সংস্থা আইএএনএসের সঙ্গে শুক্রবার কথা হয় চাঙ্কির।
‘আমি যখন অ’ভিনয়ে আসি, তখন নায়ক মানেই ছিল ইতিবাচক কাজের দৃশ্য। নায়ক খা’রাপ কিছুর স্বপ্নও দেখতে পারবে না। ধারণাটা ছিল এমন,’ পেছনের দিনগুলোর কথা স্ম’রণ করে অ’ভিনেতা বলেন, ‘এরপর শাহরুখ খান আসলেন। বাজিগরের মতো ছবি করলেন। ধীরে ধীরে অক্ষয় কুমা’র, আমির খানও চরিত্রে পরিবর্তন আনেন।’
পাপ কি দুনিয়া, খাত্রো কি খিলাড়ি, জ্যাহিরিলা, রুপিয়া দাস কারো, বিশ্বমাতা, লুটেরা এবং আঁখে’র মতো ছবিতে অ’ভিনয় করে ভা’রতে পরিচিতি পাওয়া চাঙ্কি ঢাকায় আসেন ১৯৯৩ সালের দিকে। খানদের কারণে ওই সময় বাজার হারাতে থাকেন তিনি । বাংলাদেশে তার সবচেয়ে বড় ছবি ছিল ‘স্বামী কেন আ’সামি’।
মনোয়ার খোকন পরিচালিত এ ছবিতে আরও ছিলেন শাবানা, জসিম ও ঋতুপর্ণা। সংগীত পরিচালনায় ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি। পরে তিনি ‘বেশ করেছি প্রে’ম করেছি’ নামের আরেকটি ঢাকাই ছবিতে কাজ করেন। ছবিগুলো ব্যবসায়িকভাবে খুব একটা খা’রাপ যায়নি।
‘২০০০ সালে বাংলাদেশ থেকে ফিরে আমি আমা’র রূপান্তরটা টের পাই। বুঝতে পারি আর কখনো হিরো হতে পারব না…আমি অবশ্য হাতেগোনা কয়েকটি ছবিতে ছাড়া মূল হিরোর চরিত্রে অ’ভিনয় করিনি।’
‘আমি মূলত একাধিক চরিত্রের ভিড়ে অ’ভিনয় করেছি। এগুলো করতে করতেই বুঝেছি এসব চরিত্রে উপভোগের সুযোগ বেশি থাকে। আপনার ওপর কোনো চাপ থাকবে না। চরিত্রে একবার ঢুকে গেলে, সেটা আপনার হয়ে যাবে।’
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.