Beanibazarview24.com
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মো. মাহিন হাসান সিয়াম মাত্র ৬ মাসে পবিত্র কোরআন মাজিদ মুখস্থ করে হাফেজ হয়েছে।
সিয়াম ঐ উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মহিধর গ্রামের শিক্ষক মো. ইউসুফ আলী বাবুর ছেলে। সে কুড়িগ্রাম কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ছে। জন্মগতভাবে সিয়াম থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত।
সিয়াম শুধু মাদরাসাশিক্ষায় সুনাম অর্জন করেনি, স্কুলেও অসামান্য মেধার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। পড়াশোনায় অন্যদের চেয়ে এগিয়ে আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চার ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট সিয়াম স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি মা-বাবার স্বপ্নপূরণে সিনাইহাট বড়গ্রাম ইকরা দারুস সালাম নুরানি ও হাফেজিয়া মাদরাসায় কোরআন মাজিদ শিক্ষায় নাম লেখায়। শারীরিক অসুস্থতা থাকা সত্ত্বেও প্রবল ইচ্ছা আর হাফেজ হওয়ার স্বপ্নে মাত্র ৬ মাসে কোরআন মুখস্ত করে সে।
মাহিন হাসান সিয়াম বলে, আল্লাহ তায়ালা আমাকে কোরআন মাজিদ মুখস্থ করার তৌফিক দান করেছেন। আমি প্রতিদিন হুজুরকে নিম্নে ৭ ও সর্বোচ্চ ১০ পৃষ্ঠা সবক দিতাম। এভাবে প্রতিদিন পড়ে ৬ মাসে কোরআন মাজিদ মুখস্থ করেছি। অসুস্থ অবস্থাতেও পড়া বন্ধ করিনি।
সিয়ামের বাবা ইউসুফ আলী বাবু বলেন, সিয়াম শিশু বয়স থেকেই থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত। নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হয়। এরপরও আল্লাহ পাক তাকে যে মেধা দিয়েছেন, আমি ভাগ্যবান। সে স্কুলে লেখাপড়ার পাশাপাশি মাত্র ৬-৭ মাসে কোরআন মাজিদ মুখস্থ করেছে। সৃষ্টিকর্তা তাকে যেন সুস্থ রাখেন, এটাই চাই।
সিনাইহাট বড়গ্রাম ইকরা দারুস সালাম নুরানি ও হাফেজিয়া মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মো. তৈয়ব আলী বলেন, সিয়াম খুবই ভালো ছাত্র। আমার ২৫ বছর শিক্ষকতা জীবনে তার মতো মেধাবী দেখিনি। আল্লাহ তায়ালা তাকে মেধা দিয়েছেন। মাত্র ৬ মাসে সে কোরআন মুখস্থ করে ফেলেছে। তার জন্য দোয়া করি- ইনশাআল্লাহ, সে আরো ভালো কিছু করবে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.