Beanibazarview24.com






কাতারে জাতীয় কুরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশী হাফেজরা। দুই শাখায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশী কিশোর ও তরুণী। আধুনিক কাতারের স্থপতি শেখ জাসেম বিন মুহাম্মদ আলথানির নামে কাতারে প্রতি বছর সরকারিভাবে জাতীয় পবিত্র কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।




এই বছর অনুষ্ঠিত কুরআন প্রতিযোগিতায় তিন শাখার মধ্যে বিদেশীদের জন্য নির্ধারিত দুই শাখায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশী দু’জন হাফেজ। এঁদের মধ্যে এক শাখায় প্রথম হয়েছেন ১৪ বছর বয়সী বাংলাদেশী কিশোর উসামা এবং অন্য শাখায় প্রথম হয়েছেন বাংলাদেশী তরুণী আয়েশা।




কাতারে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই প্রতিযোগিতায় বয়স কিংবা নারী-পুরুষের জন্য আলাদা আলাদা শাখা থাকে না। ফলে এই দু’শাখায় অংশ নিয়েছেন কাতারে বসবাসরত আরব ও অনারব বিভিন্ন দেশের নানা বয়সের হাফেজ নারী ও পুরুষরা, সবাইকে পেছনে ফেলে দু’টি শাখায়ই প্রথম স্থান বিজয়ী হলেন বাংলাদেশী হাফেজরা। প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কাতারের ধর্মমন্ত্রী ও সুধীজনরা।




কাতারে মর্যাদাপূর্ণ এই প্রতিযোগিতায় দু’টি শাখায় বাংলাদেশীদের প্রথম হওয়ার খবরে আনন্দিত কাতার প্রবাসী বাংলাদেশীরাও। কাতারের ধর্ম মন্ত্রণালয় চলতি রমজানের প্রথম সপ্তাহে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল।
কাতারের জাতীয় মসজিদে সপ্তাহব্যাপী তিনটি ধাপে প্রতিযোগিতা শেষে গত সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানী দোহার শেরাটন হোটেলে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে কাতারের ধর্মমন্ত্রী গানেম বিন শাহিন আল গানেম বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার সনদ ও অর্থ তুলে দেন। কাতারে শেখ জাসেম বিন মুহাম্মদ আলথানি কুরআন প্রতিযোগিতার এবারে আসর ছিল ২৭তম।
এবারের প্রতিযোগিতায় অংশ নেন প্রায় দেড় হাজার প্রতিযোগী। কাতারি ও বিদেশীদের মধ্যে অংশ নেন হাফেজ নারী ও পুরুষরা। এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদেরকে মোট ১২ লাখ কাতারি রিয়াল পুরস্কার হিসেবে তুলে দেয়া হয়।
এ বছরের জাতীয় কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জনকারী উসামা চৌধুরীর বয়স ১৪ বছর।
সিলেট জেলার শাহপরান থানার খাদিমপাড়ায় তার বাড়ি। মরহুম মাওলানা শিহাবুদ্দীন উসামার পিতা কাতারে ইমাম হিসেবে কর্মরত ছিলেন। উসামা বর্তমানে কাতারের একটি স্কুলে নবম শ্রেণীর ছাত্র। তিনি প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়ায় পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন এক লাখ কাতারি রিয়াল।
এ ছাড়া অন্য শাখায় প্রথম স্থান অর্জনকারী বাংলাদেশী তরুণী আয়েশার বাবার নাম উমর ফারুক। তার বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার আজিম নগর ইউনিয়নে।
আয়েশার বোন আজিজা এবার অন্য আরেকটি শাখায় পঞ্চম স্থান অধিকার করেছেন। তিনি পেয়েছেন ৫০ হাজার কাতারি রিয়াল। অনুষ্ঠানে দুই মেয়ের পক্ষে বাবা ওমর ফারুক কাতারের ধর্মমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.