Beanibazarview24.com
আজ ৮ জুলাই, শুক্রবার। পালিত হচ্ছে পবিত্র হজ। বিশ্বের ১০ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান মক্কা থেকে ১৫ কিলোমিটার নিকটবর্তী আরাফার ময়দানে অবস্থান করছেন। তাদের ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত আরাফার ময়দান। নবী কারিম (স.) ইরশাদ করেন, ‘আরাফার ময়দানে অবস্থান করাই হজ।’ (সুনান নাসায়ি: ৩০৪৪)
এবারের হজ শুক্রবারের দিন হওয়ায় বেশ কিছু বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এর অন্যতম হলো, ‘দীর্ঘ ২৮০ বছর পর এবার হজ শুক্রবারে পড়েছে, যা হজে আকবর।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই বক্তব্যের সবটাই অসত্য। কারণ সর্বশেষ ২০১৪ সালের (৩ অক্টোবর) হজ শুক্রবারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ ছাড়া ২০০৯ সালের ২৭ নভেম্বর এবং ২০০২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হজও ছিল শুক্রবারে।
অন্যদিকে এবারের হজের ফজিলত বিষয়ে বলা হচ্ছে, ‘ইয়াওমে আরাফা অর্থাৎ হজ যদি শুক্রবার হয়, তাহলে ওই হজ সত্তর বা বাহাত্তর হজের চেয়েও বেশি ফজিলত রাখে।’ কোনো কোনো মানুষকে এটি হাদিস হিসেবে বলতে শোনা যায়, কিন্তু এটি হাদিস নয়। কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে তা পাওয়া যায় না।
ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেন, ‘এটি একটি বাতিল কথা, এর কোনো ভিত্তি নেই। হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সাহাবা-তাবেয়িন কারও থেকেই এ ধরনের কথা প্রমাণিত নয়।’ -ফয়জুল কাদির : ২/২৮
তেমনিভাবে জুমাবার হজ হলে কোনো কোনো মানুষ এটিকে ‘আকবরি হজ’ বলে থাকে- এটিও একটি ভিত্তিহীন কথা। তবে এটা ঠিক যে, জুমার দিনে হজ হলে সেখানে একদিকে আরাফার দিনের ফজিলত ও অন্যদিকে জুমার দিনের ফজিলত একত্র হয় এবং এ জন্য এর একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, তবে এর সঙ্গে উপরোক্ত বর্ণনা ও বক্তব্যের কোনো সম্পর্ক নেই, সেগুলো সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রসঙ্গ।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.