Beanibazarview24.com
প্রায় চল্লিশ ঘন্টা হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থেকে মৃ.ত্যু.র সাথে ল.ড়া.ই করে অবশেষে হার মানলেন ইংল্যান্ডের গ্রেটার ম্যানচেস্টারের হাইডের বাসিন্দা ব্যবসায়ী হাজী মোহাম্মদ হেদায়েতুল ইসলাম নওয়াব। শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টায় ফুড ডেলিভারি দেওয়ার সময় তিনি দুর্বৃত্তের কবলে পড়েন। দু.র্বৃ.ত্ত.রা তাকে মা.রা.ত্ম.ক আ.হ.ত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রেখে তার গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় সলফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মা.রা যান।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী হেদায়েতুল ইসলাম নওয়াব মিয়া (৫৩) রবিবার (১০ জানুয়ারী) সন্ধ্যা ৪.৩০মিনিটের সময় তিনি গ্রেটার ম্যানচেষ্টারের সলফোর্ড হাসপাতালে মৃ.ত্যু.ব.র.ন করেন ( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
গত ৮ জানুয়ারী রাত আনুমানকি সাড়ে নয়টার সময় তিনি তাঁর রেষ্টুরেন্ট থেকে খাবার ডেলিভারী করতে গেলে দু.স্কৃ.ত.কা.রীদের আ.ক্র.ম.ণের শি.কা.র হন। স্টকপোর্টের হেজেলে এভিনিউ’র একটা বাসায় খাবার ডেলিভারী করাকালীন সময়ে তাঁর মার্সিডিজ গাড়িটির ইন্জিন চালু ছিল। এসময় দু.স্কৃ.ত.কা.রীরা গাড়িটা নিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি বাঁধা দেন ।
এসময়ে তারা তাঁকে ধা.ক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং তিনি মাথায় আ.ঘা.ত.প্রা.প্ত হন। ডেভিড স্পীড নামের প্রত্যক্ষদর্শী, যার বাসায় নওয়াব খাবার ডেলিভারী করতে গিয়েছিলেন তিনি জানান, তাঁর দরজায় বেল বাজার পর তিনি ‘না না’ আওয়াজ শোনেন এবং নওয়াবকে তার গাড়ির দিকে দৌড়াতে দেখেন । নওয়াব প্যাসেন্জার আসনের জানালায় ধরে আটকানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেন । এসময় দু.স্কৃ.ত.কা.রী.রা গাড়ি দ্রুত চালালে তিনি ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান এবং মাথায় মা.রা.ত্ন.ক.ভা.বে আ.ঘা.ত.প্রা.প্ত হন ।
এরপর .দু.স্কৃ.ত.কা.রীরা তাঁকে রাস্তার মাঝে ফেলে সিলভার রং এর মার্সিডিজটি নিয়ে দ্রুত চলে যায় । হেজেল এভিনিউর অন্যান্য নেইবাররাও এসময় এগিয়ে আসেন এবং নওয়াবের রেষ্টুরেন্টসহ পুলিশ-এম্বুলেন্সের সাথে যোগাযোগ করেন।সলফোর্ড হাসপাতালে প্রথম থেকেই তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষনে ছিলেন ।
এ হা.ম.লা.র সাথে জড়িত থাকার স..ন্দে.হে ১৪ বছরের এক কিশোরকে আ.ট.ক করেছে পুলিশ ।
হেদায়েতুল ইসলাম (নওয়াব মিয়া) হাইড শহরের নিউটন এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করে আসছেন । তিনি ছিলেন হাইড মসজিদ কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক ।নওয়াব মিয়ার দুই ছেলে ও এক মেয়ে এবং তাঁদের দেশের বাড়ি সিলেটের উসমানি নগর থানার মাধবপুর গ্রামে।
সূত্র: ৫২ বাংলা
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.