Beanibazarview24.com
কোরবানির হাট মাতাতে ৩১ মণ ওজনের এক ষাঁড় নিয়ে হাজির হয়েছিলেন টাঙ্গাইলের এক প্রবাসী। ষাঁড়টির নাম রাখা হয় ‘হিরো আলম’। যে কারণে ষাঁড়টি নিয়ে কৌতূহল ছড়িয়ে পড়ে দেশব্যাপী।
গণমাধ্যমেও ‘হিরো আলম’কে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর গাবতলীর হাটে নিয়ে আসেন টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার বটতলা গ্রামের কামরুজ্জামান ও তার স্ত্রী জয়নব বেগম।হাটে এর দাম হাঁকানো হয় ১২ লাখ টাকা।
কিন্তু বিশালাকার ষাড়টির কাঙ্ক্ষিত দাম বলছিল না কেউ। পরে ঈদের আগের দিন রাতে ৪ লাখ টাকায় ষাঁড়টিকে বিক্রি করে দেন কামরুজ্জামান।
পুরান ঢাকার একটি এতিমখানা কর্তৃপক্ষ ষাঁড়টি কিনেছেন বলে জানিয়েছেন কামরুজ্জামানের স্ত্রী জয়নব বেগম।
জয়নব বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ‘গাবতলীর হাটে হিরো আলমকে নিয়ে গিয়েছিলাম। এতো বড় গরুর ক্রেতা ওই হাট ছাড়া আর কোথাও পাওয়া সম্ভব না। হাটে ছয় দিন ক্রেতার জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। ১২ লাখে কেউ এগিয়ে আসেনি। এতে আমরা দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। ৬ দিন পর পুরান ঢাকার এক এতিমখানার কর্তৃপক্ষের কাছে ষাঁড়টিকে ৪ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়ে চলে আসি।’
এতে লোকসান হয়েছে কি না প্রশ্নে জয়নব বেগম বলেন, ‘অবশ্যই, এক লাখের বেশি লোকসান হয়েছে। দুই লাখ ৭৬ হাজার টাকায় কিনেছিলাম ‘হিরো আলম’কে। একে লালন-পালন করে এতো বড় করতে সবমিলিয়ে ৫/৬ লাখ তো গেছেই। এছাড়া হাটে জায়গা ভাড়া বাবদ ৪৫ হাজারসহ হাটে ৭৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সেই টাকাও যোগ করতে হবে।’
প্রসঙ্গত, ‘হিরো আলম’ নামের ষাঁড়টি ছিল মূলত ফ্রিজিয়ান জাতের। এর বয়স হয়েছিল ৪ বছর। এটি লম্বায় ছিল সাড়ে ৮ ফুট, উচ্চতায় ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.